দীপক কোছর, চন্দা কোছর ও বেণুগোপাল ধূত।—ফাইল চিত্র।
ঋণ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ভিডিয়োকন এবং নিউপাওয়ার রিনিউয়েবলস প্রাইভেট লিমিটেডে হানা দিল সিবিআই।প্রাথমিক তদন্তের পর ওই মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তাতে নাম রয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও চন্দা কোছর, তাঁর স্বামী ও নিউপাওয়ার রিনিউয়েবলস প্রাইভেট লিমিটেডেপ প্রতিষ্ঠাতা দীপক কোছর এবং ভিডিয়োকন সংস্থার মালিক বেণুগোপাল ধূতের। ক্ষমতায় থাকাকালীন ভিডিয়োকনকে বিপুল অঙ্কের ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ চন্দা কোছরের বিরুদ্ধে। ভিডিয়োকনের হাতঘুরে ঋণের টাকা দীপক কোছরের সংস্থায় পৌঁছেছিল বলে জানা গিয়েছে। তার জেরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ভিডিয়োকনের দফতরে হানা দিয়েছেন। তল্লাশি শুরু হয়েছে নিউপাওয়ার রিনিউয়েবলস প্রাইভেট লিমিটিডের দফতরেও।
এ দিন সকালে বেণুগোপাল ধূতের বৈদ্যুতিন, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলক সংস্থা ভিডিয়োকন গ্রুপের মুম্বই এবং ঔরঙ্গাবাদের দফতরে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল। অন্য একটি দল গিয়ে পৌঁছয় মুম্বইয়ের নারিমান পয়েন্টে নিউপাওয়ার রিনিউয়েবলস অ্যান্ড এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের দফতরে। তিনটি জায়গাতেই তল্লাশি জারি রয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ২০টি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম থেকে মোট ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল ভিডিয়োকন সংস্থা। যার মধ্যে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা হাতে পেয়েছিল ২০১২ সালে। ঘুরপথে সেই টাকার কিছু অংশ গিয়ে পৌঁছয় চন্দা কোছরের স্বামী দীপক কোছর ও তাঁর দুই আত্মীয়ের প্রতিষ্ঠা করা নিউপাওয়ার সংস্থায়। ২০১০ সালে নিজের একটি সংস্থার মাধ্যমে নিউপাওয়ার সংস্থায় ৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন ভিডিয়োকন কর্তা বেণুগোপাল ধূত। চন্দা কোছর ঋণ মঞ্জুর করলে, তার ছ’মাসের মধ্যে নিজের সংস্থার মালিকানা দীপক কোছরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেন তিনি। তাও মাত্র ৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। আবার নিউপাওয়ার সংস্থায় নিজের ৫০ শতাংশ মালিকানা মাত্র আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে দীপক কোছরকে ছেড়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলকেই সমর্থন, চার দিনেই পছন্দ বদল কুমারস্বামীর
আরও পড়ুন: প্ল্যাটফর্মের পরিবর্তে মাঝের লাইনে ট্রেন, যাত্রী দুর্ভোগ, দাশনগরে বিঘ্ন ট্রেন চলাচল
অন্য দিকে, ঋণের টাকাও এখনও পর্যন্ত শোধ করেনি ভিডিয়োকন। আইসিআইসিআইয়ের কাছে ২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বাকি রয়েছে তাদের। অনুৎপাদক সম্পদের আওতায় গত বছর যা বাতিল করা হয়। তার পরই মাথাচাড়া দেয় বিতর্ক। প্রথমে চন্দার পক্ষ নিলেও, সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হয় আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষ। যার জেরে পদত্যাগ করেন চন্দা কোছর। ২০০৯ সালের মে মাস থেকে ব্যাঙ্কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy