প্রতীকী ছবি।
আগেই সারদা-কাণ্ডে পাঁচটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই শুক্রবার বারাসতের বিশেষ আদালতে ছ’নম্বর চার্জশিটটি পেশ করল দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী, আইনজীবী নলিনী চিদম্বরমের বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের মুখপাত্র অভিষেক দয়াল দিল্লিতে জানান, সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে যোগসাজশ করে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে নলিনীর বিরুদ্ধে। লোক ঠকানো এবং টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সিবিআইয়ের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতে সাংবাদ সম্প্রচারের জন্য ২০১১ সালে জি এম প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন সুদীপ্ত। ওই সংবাদমাধ্যমের মালিক ছিলেন সাংবাদিক মনোরঞ্জনা সিংহ। তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
মাতঙ্গ সিংহের প্রাক্তন স্ত্রী। সারদা মামলায় মনোরঞ্জনা ও মাতঙ্গকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। দু’জনেই জামিন পেয়েছেন। অভিযোগ, সুদীপ্তের কাছ থেকে সংবাদ সম্প্রচার বাবদ প্রায় ২৫ কোটি টাকা নেন মনোরঞ্জনা। সুদীপ্ত সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করেন, সংবাদ সম্প্রচার করা হয়নি। পুরো টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছিল।
সিবিআই জানিয়েছে, মনোরঞ্জনাই নলিনীর সঙ্গে সুদীপ্তের আলাপ করিয়ে দেন। অভিযোগ, সেবি, আরওসি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার নজর
থেকে সুদীপ্তকে বাঁচাতেই সাহায্য নেওয়া হয়েছিল নলিনীর। সিবিআইয়ের দাবি, সেই জন্য ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সুদীপ্তের কাছ থেকে এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন নলিনী। যদিও খাতায়-কলমে দেখানো হয়, মনোরঞ্জনার সঙ্গে সুদীপ্তের চুক্তির আইনগত বিষয় দেখাশোনা করার জন্য নলিনীকে ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল।
পরে সিবিআইয়ের জেরায় মনোরঞ্জনাও জানান, ওই চুক্তির আইনগত বিষয়ে দেখাশোনা বাবদই নলিনী টাকা নিয়েছিলেন। এক সিবিআই-কর্তা বলেন, ‘‘আইনগত বিষয় দেখাশোনা বাবদ এক কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। একই ধরনের কাজ করে ওই আইনজীবী অন্যত্র কত টাকা নিয়েছেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হয়েছে।’’ অভিযোগ, সারদা ও মনোরঞ্জনার কাছ থেকে তুলনায় বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। নলিনীকে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তের খাতিরে নলিনীকে বেশ কয়েক বার কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছিল সারদা-কাণ্ডের অন্যতম তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কলকাতায় আসা আটকেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy