খুদে পড়ুয়াকে স্কুলবাসের ধাক্কা।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল সাত বছরের নীতীশ। মাঝপথেই একটি স্কুলবাস তাকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েছিল নীতীশ। তার মাথায় লেগেছিল। কিন্তু ফেটে যায়নি।
ধাক্কা মেরেছেন বুঝতে পেরেই তৎক্ষণাৎ বাসটিকে দাঁড় করান চালক। নীতীশ তত ক্ষণে উঠে দাঁড়িয়েছিল। তাকে জল খাইয়ে দেন চালক। স্বাভাবিক কথা বলছে দেখে, নীতীশকে ছেড়ে ফের বাস নিয়ে চলে যান তিনি।
বুধবার তখন সকাল ৯টা। স্কুলের তাড়া ছিল। তাই আঘাত পেয়েও স্কুলের উদ্দেশে হেঁটে রওনা দেয় ছোট্ট ছেলেটি। ক্লাসে গিয়েও বসে সে। ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। নীতীশের জ্ঞান হারানোর খবর চাউর হতেই শিক্ষকরা ছুটে আসেন। তাঁরা দেখেন, নীতীশের মাথার পিছন দিকটা বেশ ফোলা। সঙ্গে সঙ্গে নীতীশকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে নীতীশের।
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। শহরের মুনেকোলালু এলাকার বাসিন্দা রাজেশ এবং প্রিয়ার একমাত্র সন্তান ছিল নীতীশ। হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। নীতীশের বাড়ি থেকে স্কুল যাওয়ার পথে যে সব সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল, সেগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ। তখনই তারা দেখে যে, একটি স্কুলবাস ধাক্কা মারায় রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল নীতীশ। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বাসচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy