(বাঁ দিকে) অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আবার দিল্লিতে হামলার মুখে পড়ল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গাড়ি। এমনই দাবি করলেন স্বয়ং কেজরীওয়াল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হরি নগর এলাকায় এক জনসভায় যাওয়ার সময় কয়েক জন তাঁর গাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই পঞ্জাব পুলিশ কেজরীওয়ালকে দেওয়া অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আপ প্রধানের অভিযোগ, হরি নগর এলাকায় ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় বিরোধী শিবিরের প্রার্থীর কয়েক জন সমর্থক আচমকাই তাঁর গাড়ির কাছে চলে আসেন। তাঁর গাড়িতে হামলা করা হয়। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ‘চক্রান্ত’-এর অভিযোগ তুলেছেন কেজরীওয়াল। তাঁর নিশানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পুলিশই হামলাকারীদের তাঁর গাড়ির কাছে আসতে দিয়েছিল। আর পুরোটাই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। দিল্লি পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ আপ প্রধানের। পাশাপাশি, কেজরীওয়াল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, কমিশন এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই দিল্লিতে কেজরীওয়ালের গাড়িতে হামলা হয়ছিল বলে অভিযোগ করে আপ। তাদের দাবি, কেজরীওয়ালের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজনীতি। আপের অভিযোগ, ভোটে কেজরীকে পরাজিত করতে পারবে না বুঝতে পেরে তাঁকে ‘রাস্তা থেকে সরানো’র চেষ্টা করছে বিজেপি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনার দাবি, বিজেপিই হামলার ছক কষেছিল। হামলার নেপথ্যে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী পরবেশ বর্মা। ‘হামলাকারী’রা তাঁর লোক বলে দাবি করে আপ। যদিও আপের অভিযোগ উড়িয়ে দেন পরবেশ। তাঁর দাবি, তিন যুবক কেজরীওয়ালের কাছে চাকরির দাবি জানাতে গিয়েছিলেন। তখন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁদের গাড়ি থেকে ধাক্কা মারা হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবার কেজরীওয়ালের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার পঞ্জাব পুলিশ কেজরীওয়ালের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কথা জানায়। পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব জানান, মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং কেজরীওয়ালের উপর হামলার হুমকি রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তাঁদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে দিল্লি পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পর কেজরীওয়ালের সেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। গৌরব আরও বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের (মান এবং কেজরীওয়াল) নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। দিল্লি পুলিশের সঙ্গেও যাবতীয় তথ্য ভাগ করে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy