ইউজিসি। —ফাইল চিত্র।
দেশে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জায়গা-জমি নিয়ে সুপারিশ করল ইউজিসির বিশেষজ্ঞ কমিটি। ছ’জন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কম পক্ষে ৩০০০ জন পড়ুয়া থাকতে হবে। এর জন্য অন্তত ২০ একরের ক্যাম্পাস হতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে ৪০ শতাংশ জায়গা ফাঁকা, অনেক গাছ-গাছালি থাকতে হবে। পাশেই অন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলে খেলার মাঠ, জিম, লাইব্রেরি ভাগ করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দেশে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অন্তত ৫০০ একর জমিতে তৈরি। তবে শিক্ষাক্রমে অনলাইন ব্যবস্থার মতো নানা বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইউজিসি ছোট পরিসরে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পঠনপাঠনের পরিকল্পনা করছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়বে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গাঁটছড়া বেঁধে সমন্বয়ী বা ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি শিক্ষার প্রসারের কথাও ভাবছে ইউজিসি। তবে রিপোর্টে জনবহুল বড় শহর এবং পাহাড়ি এলাকায় জমির পাওয়ার অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বলা হয়েছে, ন্যূনতম ১০ একর জমির ওপর ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে। এর মধ্যে তিন একর খালি জায়গা রাখতে হবে। অন্য দিকে, মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং দূর শিক্ষায় পঠনপাঠনের সুযোগ থাকলে পাঁচ একর জমি থাকতে হবে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতিতে হাইব্রিড পঠনপাঠনের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে শিক্ষাক্রমের সংস্থানও রাখা হয়েছে। সব দিক বিচার করে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভৌগোলিক অবস্থান মাথায় রেখে রিপোর্টে সুপারিশগুলি করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আইন অনুযায়ী তৈরি হওয়ার কথা। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোথাও অনেক জায়গা জুড়ে, কোথাও ছোট।
ইউজিসির সাম্প্রতিক সুপারিশ, শিক্ষাঙ্গনগুলির পরিসরের মধ্যে সমতা নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্রের পরিসর নিয়ে এখনও কিছুই নির্দিষ্ট করা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে সমস্যা থাকলে বিশেষ বিবেচনায় মুশকিল আসানের চেষ্টা হতে পারে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy