Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

স্বাভাবিকই ছিলেন প্রিয়ঙ্কা, দাবি বাগ্‌দত্তের

একেবারেই স্বাভাবিক ছিলেন বুরারির আত্মঘাতী পরিবারের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা। অন্তত পুলিশকে তেমনটাই জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কার বাগ্‌দত্ত। অন্য দিকে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে ভাটিয়া পরিবারের সদস্যদের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝোলার প্রস্তুতি নিতে দেখা গিয়েছে।

ঠাকুমার সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা ভাটিয়া। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।

ঠাকুমার সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা ভাটিয়া। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৯
Share: Save:

একেবারেই স্বাভাবিক ছিলেন বুরারির আত্মঘাতী পরিবারের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা। অন্তত পুলিশকে তেমনটাই জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কার বাগ্‌দত্ত। অন্য দিকে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে ভাটিয়া পরিবারের সদস্যদের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝোলার প্রস্তুতি নিতে দেখা গিয়েছে।

বুরারির ভাটিয়া পরিবারের মেয়ে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে সম্প্রতি বিয়ে ঠিক হয়েছিল এক যুবকের। প্রিয়ঙ্কা-সহ ওই পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু ও সেই সূত্রে অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাসের কথা উঠে আসায় বিস্মিত তিনি। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে তাঁর আশীর্বাদের সময়েও ভাটিয়া পরিবারের তরফে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রিয়ঙ্কা সাধারণ জীবনযাত্রায় বিশ্বাস করতেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক পরিকল্পনাও ছিল তাঁর। প্রিয়ঙ্কার মাকে দেখেও অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাসী বলে মনে হয়নি ওই যুবকের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সকলে মিলে আত্মহত্যা করবেন মনে করলে ওঁরা মেয়ের বিয়ে ঠিক করলেন কেন?’’

সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, রাস্তায় ভাটিয়াদের বাড়ির উল্টো দিকের থাকা একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে বাড়ির দুই কিশোর ধ্রুব ও শিবম নীচের একটি আসবাবপত্রের দোকান থেকে তার নিয়ে আসছে। পরিবারের কোনও এক জন মহিলা জোগাড় করছেন টুল। ঘটনার দিন রাতে স্থানীয় দোকানে ২০টি রুটির অর্ডার দিয়েছিলেন ভাটিয়ারা। ঋষি নামে দোকানের এক কর্মী সেগুলি তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। তিনিও জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে অস্বাভাবিক কিছুই চোখে পড়েনি তাঁর। সম্ভবত ঋষিই ভাটিয়া পরিবারের সদস্যদের শেষ জীবিত দেখেছেন। পুলিশের দাবি, ওই বাড়ি থেকে পাওয়া রহস্যময় ডায়েরিতে সে দিন রাত দশটার সময়েই খাবার কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে বাড়ির ছাদে বেঁধে রাখা হয়েছিল ওই পরিবারের পোষা কুকুর জ্যাকিকে। খবর পেয়ে তাকে নয়ডায় নিজের পশু উদ্ধার কেন্দ্রে নিয়ে যান পশু অধিকার কর্মী সঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, কুকুরটিকে বাগে আনতে তাঁদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। সেটির প্রচণ্ড জ্বরও হয়েছিল। এখন অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মহাপাত্রের মতে, কুকুরটি ছাড়া থাকলে সে চেঁচামেচি করে পরিবারের সদস্যদের মনোযোগ অন্য দিকে আকৃষ্ট করতে পারত। সে ক্ষেত্রে হয়ত এমন ঘটনা এড়ানো যেত। মহাপাত্রের কথায়, ‘‘প্রিয়জনকে হারালে পোষ্যেরও মানসিক ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। জ্যাকি এখন কিছুটা সুস্থ। ওর লিভারের সমস্যা আছে।’’ তাঁর মতে, সুস্থ হওয়ার পরে ডগ স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞেরা জ্যাকিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে কোনও সূত্র পাওয়া যেতেও পারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE