প্রতীকী ছবি।
বফর্স ঘুষ কাণ্ডের তদন্তে অন্তর্ঘাত হয়েছিল বলে অভিযোগ করে সরাসরি কংগ্রেস তথা কেন্দ্রীয় সরকারে তাদের শাসনকালের দিকেই আঙুল তুললেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন প্রধান আর কে রাঘবন।
নিজের আত্মজীবনী ‘আ রোড ওয়েল ট্রাভেলড’-এ রাঘবন এই মন্তব্য করেছেন। ১৯৯৯ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআইয়ের ডিরেক্টর থাকাকালীন বফর্স কাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন তিনি। রাঘবনের মতে, একটি অভ্রান্ত মামলায় সরকারি অন্তর্ঘাতের উদাহরণ হল বফর্স কাণ্ড। সেই সরকার ছিল এমন একটি দলের, যাদের ‘জনতার কাছ থেকে লুকোনোর মতো অনেক কিছু আছে।’
১৯৮৬ সালে সুইডিশ অস্ত্র নির্মাতা সংস্থা বফর্সের থেকে হাউইৎজ়ার কামান কেনার চুক্তির সময়ে কংগ্রেসের নেতা এবং আমলাদের ওই বিদেশি সংস্থাটি প্রায় ৬৪ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ। রাঘবনের মতে, ঘুষ-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে জনরোষের চাপেই ১৯৮৮ সালে রাজীব গাঁধী সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়, সে প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্য যতই ‘অপারেশন হোয়াইটওয়াশ’ হোক না কেন। কিন্তু মামলায় যে শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হল না, তার জন্য ‘নয়ের দশক এবং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সিবিআইয়ের নিয়ন্ত্রকদের’ দায়ী করেছেন রাঘবন।
আরও পড়ুন: তেজস্বীর সভায় মানুষের ঢল
আরও পড়ুন: ‘সব বাঙালি বাংলাদেশি’! উত্তপ্ত শিলং
প্রসঙ্গত, নয়ের দশকের গোড়ায় ছিল পি ভি নরসিংহ রাওয়ের সরকার। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালে ছিল মনমোহন সিংহের সরকার। তবে কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেও রাঘবন লিখেছেন, ‘‘টাকার কিছুটা অংশ কংগ্রেসের জন্যও ছিল, এটা সম্ভব। কিন্তু তা নিশ্চিত ভাবে বলা শক্ত।’’
সিবিআই তদন্তের গতি বাড়াতে পারত বলে মেনে নিয়েও রাঘবনের অভিযোগ, ‘‘সিবিআই যখন ওত্তাভিয়ো কুত্রোচ্চিকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই সরকারের এক বর্ষীয়ান সদস্য তাঁকে খবর দিয়ে দেন বলে মনে করা হয়। কুত্রোচ্চি দেশ ছেড়ে পালান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy