অাজাদ ময়দানে কৃষকদের সমাবেশ। পিটিআই।
রাজধানীর বোট ক্লাবে জমায়েত তো দূরের কথা। ৩০ নভেম্বর রামলীলা ময়দান থেকে সংসদ মার্গ পর্যন্ত কৃষকদের মহামিছিলেরও অনুমতি দিতে চাইছে না দিল্লি পুলিশ। কৃষক নেতাদের পুলিশ জানিয়েছে, বাসের ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকরা বাসে রামলীলা ময়দান থেকে সংসদ মার্গের সমাবেশে আসতে পারেন। যদিও নেতারা জানান, তাঁরা মিছিল করেই আসবেন।
লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির স্লোগান তুলেছে সঙ্ঘ পরিবার। সেই সময়ে ‘অযোধ্যা নয়, দিল্লি চলো’ স্লোগান তুলে ফের রাজধানীর রাস্তায় নামছেন কৃষকেরা। দু’শোরও বেশি কৃষক-খেতমজুর সংগঠনের মঞ্চ ‘কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি’-র দাবি, কৃষকদের ঋণ-মুক্তি ও চাষের খরচের দেড় গুণ দাম নিশ্চিত করতে দু’টি বিল পাশ করাতে হবে। তার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হবে। ২৯ নভেম্বর দেশের কৃষকেরা রামলীলা ময়দানে জমায়েত হবেন। পরের দিন মিছিল করে তাঁদের সংসদ মার্গে আসার কথা। ৩০ নভেম্বরের মঞ্চে রাহুল গাঁধী যোগ দিতে পারেন। চন্দ্রবাবু নায়ডু, অরবিন্দ কেজরীবাল, পিনারাই বিজয়নেরও আসার সম্ভাবনা। তৃণমূলের তরফে সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী ওই সমাবেশে যোগ দেবেন। কৃষক নেতাদের দাবি একটাই। মঞ্চে এলে তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানাতে হবে।
গত সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রে কৃষকেরা ঠাণে থেকে মুম্বই পর্যন্ত মিছিল করেন। তার পরে ফের দিল্লিতে মহামিছিল ঘিরে উদ্বিগ্ন বিজেপি। মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক থেকে দু’টি বিশেষ ট্রেনে কৃষকরা আসছেন। কৃষক নেতাদের বক্তব্য, আগেই ২১টি রাজনৈতিক দল তাঁদের দাবির পাশে ছিল। এ বার এনডিএ-শরিক নীতীশ কুমারও তাঁদের দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy