রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। ছবি: পিটিআই।
ভোটমুখী বিহারের জন্য প্রকল্প ঘোষণার সময়ে লাদাখ সীমান্তে চিনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে বিহার রেজিমেন্টের বীরত্বের কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরে ভোট প্রচারের ফেস্টুন-ব্যানারে উঠে এসেছে ‘বিহারের ছেলে’ প্রয়াত চিত্রাভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ছবি। এ বার রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে সভা পরিচালনার সময়ে হরিবংশ নারায়ণ সিংহের ‘অপমানিত হওয়ার’ ছবিকেও ওই রাজ্যের ভোট-ময়দানে অস্ত্র করতে নেমে পড়ল বিজেপি।
রবিবার কৃষি বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে রাজি না-হওয়ায় রাজ্যসভায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন হরিবংশ। সরকারের অভিযোগ, তাঁর উপরে চড়াও হওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সোমবার উপ রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুও বলেছেন, রবিবারের ঘটনা সংসদের পক্ষে কলঙ্কের। ডেপুটি চেয়ারম্যানকে অপমান করা হয়েছে। আহতও হতে পারতেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এ দিন বিহার-অস্মিতাকে আরও এক বার জাগিয়ে তুলতে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি।
বিহারের জন্য এক গুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণার ভিডিয়ো-অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই ওই রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী এ দিন বলেছেন, ‘‘রাজ্যসভায় যা হয়েছে, তাতে নিন্দার ভাষা নেই। হরিবংশজি বিহারের মানুষ। তাঁকে ওই অপমান আদতে আঘাত বিহার-অস্মিতার উপরে। ব্যালট-বাক্সে এর জবাব দেবেন এ রাজ্যের মানুষ।’’ একই সুর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। পরে ‘হরিবংশের অপমানকে’ বিহারের প্রতি ‘অবজ্ঞা’ বলে দেখানোর চেষ্টা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও।
বিরোধীদের বক্তব্য, নীতীশ সরকার বন্যা সামলাতে ব্যর্থ। তার উপরে বিঁধছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাঁটা। যে কারণে মরিয়া হয়ে সমস্ত প্রকল্পই এখন বিহারের জন্য ঢেলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরতে বাধ্য হওয়া পরিযায়ী কর্মীদের জন্য গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের সূচনা বিহার থেকে। আবার এ দিন প্রত্যেক গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছনোর প্রকল্পও চালু হল এই ভোটমুখী রাজ্য থেকে। তা-ও যথেষ্ট নয় বুঝে বার বার বিহার-অস্মিতায় নাড়া দেওয়ার চেষ্টা। এক বিরোধী নেতার প্রশ্ন, “হরিবংশ রাজ্যসভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালীনই যে সংসদে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, নিয়ম ভেঙে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে ভোটাভুটি, তা বিজেপি বলবে তো?” হরিবংশের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা বললেও, তা অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন বেঙ্কাইয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy