Advertisement
E-Paper

বিহারে নরবলি! প্রৌঢ়ের মাথা কেটে তন্ত্রমন্ত্রের অভিযোগ, দেহ ফেলা হল আগুনে, গ্রেফতার চার

অওরঙ্গাবাদের পুলিশ সুপার অম্বরীশ রাহুল জানিয়েছেন, গত ১৩ মার্চ মগনপুর থানায় যুগলের নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ পাশের একটি গ্রামে মানুষের হাড়গোড় উদ্ধার করে।

তন্ত্রমন্ত্রের জন্য প্রৌঢ়কে অপহরণ করে খুন। প্রতীকী ছবি।

তন্ত্রমন্ত্রের জন্য প্রৌঢ়কে অপহরণ করে খুন। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১১:৫২
Share
Save

বিহারে নরবলির অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে শনিবার। হোলির পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অওরঙ্গাবাদের বাসিন্দা যুগল যাদব। তদন্তে নেমে যুগলের এক তান্ত্রিক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অওরঙ্গাবাদের পুলিশ সুপার অম্বরীশ রাহুল জানিয়েছেন, গত ১৩ মার্চ মগনপুর থানায় যুগলের নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ পাশের একটি গ্রামে মানুষের হাড়গোড় উদ্ধার করে। শুধু তা-ই নয়, একটি চটি এবং পোশাক উদ্ধার হয়। যুগলের বাড়ির লোককে দিয়ে ওই চটি এবং পোশাক শনাক্ত করানো হয়।

কিন্তু যুগলের কোনও হদিস মিলছিল না। ডগ স্কোয়াড নামায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরে রামাশিস রিকিয়াসা নামে এক তান্ত্রিকের খোঁজ পান। কিন্তু তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায় তাঁরই এক আত্মীয়কে আটক করে পুলিশ। ধর্মেন্দ্র নামে ওই আত্ময়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারে তন্ত্রমন্ত্রের জন্য যুগলকে অপহরণ করেন তান্ত্রিক রামাশিস। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, সুধীর পাসোয়ান নামে এক ব্যক্তির সন্তান হচ্ছিল না। তাই সন্তানলাভের আশায় রামাশিসের কাছে যান। অভিযোগ, রামাশিস তখন তাঁকে নরবলির পরামর্শ দেন।

অভিযোগ, সেই পরামর্শ মেনে সুধীর এবং তাঁর এক সঙ্গী যুগলকে রাস্তা থেকে অপহরণ করেন। তার পর তাঁকে খুন করে মাথা কেটে ফেলেন। দেহটি ‘হোলিকা দহন’-এর আগুনে ফেলে দেন। যেখান থেকে যুগলের হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গা থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গল থেকে তাঁর মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় তান্ত্রিক রামাশিস, ধর্মেন্দ্র, সুধীর এবং তাঁর এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Black Magic Bihar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}