Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Tej Pratap Yadav

৯০ লাখের মাটি বিক্রি করে সরকারের ঘরে এল ১০!

পালাবদলের পর ঘটনাচক্রে সেই মোদীর হাতেই এ বার রাজ্যের বন দফতর। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমেই সেই ‘মাটি কেলেঙ্কারি’ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই বন দফতরের কাছে এ সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।

তেজপ্রতাপ যাদব।— ফাইল ছবি।

তেজপ্রতাপ যাদব।— ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ১৫:৩১
Share: Save:

সময় ভাল যাচ্ছিল না পরিবারের। তাই মাস খানেক আগেই বাড়ির বড় ছেলে হিসেবে ‘কর্তব্য’ করতে এগিয়ে এসেছিলেন তেজপ্রতাপ যাদব। তখন পরিবারের মঙ্গল কামনায় সাত দিন ধরে ‘শত্রু মারণ জপ’ করেন তিনি। তাতে আখেরে লাভ যে কিছুই হয়নি, তা আরও এক বার বোঝা গেল।

কারণ, মহাজোট ভাঙার পর ‘মাটি কেলেঙ্কারি’র জেরে এ বার তদন্তের মুখে পড়তে চলেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ।

আরও পড়ুন: আমলা স্তরে বড়সড় রদবদল নীতীশের

বিহারে বিগত আরজেডি-জেডিইউ জোট সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি ক্ষুদ্র সেচ, বন ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। অভিযোগ, নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে পটনায় সঞ্জয় গাঁধীর নামে একটি চিড়িয়াখানা তৈরির টাকা নয়ছয় করেন লালু-পুত্র। বিষয়টি নিয়ে মাস পাঁচেক আগে প্রথম সরব হয়ে ছিলেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। পালাবদলের পর ঘটনাচক্রে সেই মোদীর হাতেই এ বার রাজ্যের বন দফতর। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমেই সেই ‘মাটি কেলেঙ্কারি’ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই বন দফতরের কাছে এ সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।


তেজস্বীর পর এ বার বিতর্কে তেজপ্রতাপ।— ফাইল ছবি।

গত এপ্রিলে সাংবাদিক বৈঠক করে সুশীল মোদী দাবি করেন, সঞ্জয় গাঁধী চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে ৯০ লক্ষ টাকায় মাটি বিক্রি করেছে বিহার সরকার৷ অথচ সরকারের তহবিলে এসেছে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা৷ এখানেই প্রশ্ন তোলেন মোদী৷ তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘‘যেখানে মাটি বিক্রির জন্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ৯০ লক্ষ টাকা দিয়েছে সরকারকে, সেখানে কী করে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা সরকারের তহবিলে জমা পড়ল?’’ বাকি টাকা কোথায় গেল তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ সে সময় মোদী অভিযোগ করেছিলেন, এই টাকার সম্পূর্ণটাই তেজপ্রতাপ আত্মসাত্‍ করেছেন।

বিতর্কে তেজপ্রতাপ যাদব

এর পর প্রকাশ্যে আসে আরও এক তথ্য। জানা যায়, পটনার সগুরা মোড়ে শপিং মল তৈরির জন্য মাটি কাটা হয়েছিল। সেই মাটিই কেনা হয় চিড়িয়াখানার জন্য। ওই মলটি আবার লালুপ্রসাদের বেনামি সম্পত্তি বলে দাবি তোলে বিজেপি। তখন বিরোধীদের চাপে মাটি কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু, রিপোর্টে জানানো হয় কোনও নয়ছয় হয়নি!

আরও পড়ুন: নীতীশের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি আদালতে

এ বার বিজেপি-জেডিইউ জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফের তদন্ত শুরু হতে চলেছে সেই মাটি কেলেঙ্কারির।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE