প্রতীকী ছবি।
আড়াই দশক পরে বিহারের বিধানসভা ভোটে ফের ভাল ভাবে উপস্থিতি জানান দিল তিন বাম দল। ভোট গণনার প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে, ‘মহাগঠবন্ধন’-র দুই বড় দল আরজেডি এবং কংগ্রেসের তুলনায় এ বারের ভোটে সিপিআই, সিপিএম এবং সিপিআই (এমএল) লিবারেশন ‘স্ট্রাইকিং রেট’ (লড়া এবং এগিয়ে থাকা আসনের অনুপাত)-এ এগিয়ে।
এ বারের বিধানসভা ভোটে বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে তিন বাম দল লড়েছিল ২৯টিতে। সিপিআই (এমএল) ১৯, সিপিআই ৬ এবং সিপিএম ৪টিতে। গণনার প্রবণতা বলছে এর মধ্যে সিপিআই (এমএল) ১২ এবং অন্য দুই বাম দল ২টি করে আসনে জিততে চলেছে। অর্থাৎ মোট ১৬টি।
অন্য দিকে, ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মেজ শরিক কংগ্রেস ৭০টি কেন্দ্রে লড়ে মাত্র ১৯টিতে এগিয়ে রয়েছে। তেজস্বী যাদবের আরজেডি ১৪৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে এগিয়ে রয়েছে ৭৫টিতে। অর্থাৎ দুই দলের আসনই গত বারের চেয়ে কমতে চলেছে। অন্য দিকে, ২০১৫ সালের ভোটে সিপিআই (এমএল) মাত্র ৩টি আসনে জিতেছিল। সিপিআই এবং সিপিএমের ঝুলি ছিল শূন্য।
আরও পড়ুন: বিহারে বিজেপি এগোতেই চাঙ্গা বাজার, ৪৩ হাজারে সেনসেক্স
১৯৯৫ সালের বিধানসভা ভোটে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধে অবিভক্ত বিহারের ৩২৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সিপিআই ২৬ এবং সিপিএম ৬টি কেন্দ্রে জিতেছিল। আলাদা লড়ে সিপিআই (এমএল) জিতেছিল ৬টিতে। এতদিন পর্যন্ত সেটাই বিহারে বামেদের সবচেয়ে ভাল ফলের নজির। তার পর থেকে সেখানে ধারাবাহিক ভাবে সিপিআই এবং সিপিএমের আসন কমেছে। সিপিআই বিহারে শেষ বার ২০১০ সালে ১টি আসনে জিতেছিল। আর সিপিএম ২০০৫-এর দু’টি বিধানসভা (ফেব্রুয়ারি এবং অক্টোবরে) ভোটে ১টি করে আসনে জেতার পরে বিহারে আর খাতাই খুলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ভাল ফল বিজেপি-র, ঝাড়খণ্ডে কঠিন লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন মিথিলাঞ্চল এবং ভোজপুর-মগধ অঞ্চলের গ্রামীণ কেন্দ্রগুলিতে আসন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ নজর’ দিয়েই এ বার বিহারে সফল হয়েছে তিনি বাম দল। পাশাপাশি, আসন রফার সূত্র মেনে গত বার আরজেডি এবং কংগ্রেসের জেতা কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিয়েও সাফল্য পেয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy