থানায় পুলিশ অফিসারের চেয়ারে বসে বিতর্ক বাঁধিয়েছেন তিনি। যার জেরে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বার দিল্লির বিবেক বিহার থানার পুলিশকর্তাকে আড়াল করার চেষ্টায় মুখ খুললেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাধে মা। সম্প্রতি এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, রাধে মা থানায় স্টেশন হাউস অফিসারের চেয়ারে বসে। পাশে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে উর্দিধারী স্টেশন হাউস অফিসার। গলায় তাঁর লাল-সোনালি চুনরি। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই দিল্লি পুলিশকে নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। শুরু হয় তদন্ত। সঞ্জয় শর্মা নামে ওই অফিসারকে প্রথমে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিস্ট্রিক্ট লাইনসে। পরে সাসপেন্ড করা হয়।
সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘রামলীলায় যাওয়ার পথে শৌচাগার ব্যবহার করতে থানায় ঢুকেছিলেন রাধে মা। শৌচাগার থেকে বেরিয়ে তিনি আমার চেয়ারে বসে পড়েন।’’ বিতর্কের মুখে রাধে মা আজ ভুল কবুল করে নিয়ে বলেছেন, ‘‘শৌচাগার ব্যবহার করতেই থানায় ঢুকেছিলাম। খালি চেয়ার দেখে বসে পড়ি। জানতাম না যে, সেটা স্টেশন হাউস অফিসারের চেয়ার। পরে ওই অফিসার হাতজোড় করে আমাকে চেয়ার থেকে উঠে যেতে বলেন। আমিও সঙ্গে সঙ্গে তা-ই করেছিলাম।’’ রাধে মা-র আরও দাবি, ‘‘আমি ওই অফিসারকে চিনতাম না। দিল্লি পুলিশ বা স্টেশন হাউস অফিসারকে অসম্মান করার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না।’’
রাধে মা-র এক ঘনিষ্ঠ ভক্তের প্রশ্ন, ‘‘থানায় পুলিশকর্মীরা যদি তাঁর উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান, তা হলে সমস্যা কোথায়? তিনি তো আমাদের ‘মা’! এর জন্য ওই অফিসারকে শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে, সেটাই খারাপ লাগছে।’’
কিন্তু এতেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না রাধে মা ও পুলিশের। রাধে মা-র ফেসবুক দেওয়ালে ওই দিনেরই এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল, রামলীলায় তাঁর সঙ্গে নাচছেন পাঁচ উর্দিধারী পুলিশ। ভিডিওটি পরে সরিয়ে নেওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। ওই পাঁচ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। চটুল গানে নাচ, ভক্তদের সঙ্গে অশোভন আচরণ নিয়ে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন রাধে মা। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর বিপুল সম্পদ নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy