শেষ পর্যন্ত মিজো আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি মেনেই সরানো হচ্ছে রাজ্যের বিতর্কিত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার এস বি শশাঙ্ককে। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল মেনে নিলেন, ত্রিপুরায় বসে মিজোরামের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না রিয়াং শরণার্থীরা। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হলে ফিরতে হবে মিজোরামে।
ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে থাকা ১১,২৩২টি রিয়াং ভোট নিয়ে জটিলতার শুরু। রিয়াংদের সঙ্গে হওয়া কেন্দ্র, মিজোরাম ও ত্রিপুরার চুক্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে যে রিয়াংরা মিজোরামে ফিরবেন না, তাঁদের ভোটাধিকার থাকবে না। যৌথ মঞ্চ দাবি করে, তার পরেও শশাঙ্ক ত্রিপুরায় থাকা রিয়াংদের ভোট দেওয়ানোর ব্যবস্থা করা ও রাজ্যে প্রথমবার আধা-সেনা এনে ভোট করানোর চেষ্টা করছিলেন। তাতে বাধা দেওয়ায় তিনি স্বরাষ্ট্রসচিবের নামে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেন। সরতে হয় স্বরাষ্ট্রসচিব, মূলত গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অফিসার তথা ভূমিপুত্র লালনুনমাওইয়া চাউনগোকে। শুরু হয় ব্যাপক আন্দোলন, বন্ধ।
রাজ্যের অশান্ত পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে, শশাঙ্ককে দিল্লি ফেরানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের একটি দল যৌথ মঞ্চ, গির্জা, রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে। আজ কমিশনের পাঠানো উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি দফায় দফায় রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব ও আন্দোলনকারী যৌথ মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাঁরা কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গেও। তাঁরাও স্বীকার করেন, জুলাই মাসে রিয়াং শরণার্থীদের সঙ্গে চুক্তিতে এই বিষয়টি ছিল। সে কারণেই শরণার্থীদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিজোরামে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর পরেই দু’টি দাবিই মেনে নেওয়া হয়। তবে আগামী কাল দিল্লি থেকে নির্বাচন কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy