Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Shot Dead

ডাকাত সন্দেহে অসম পুলিশের গুলিতে মৃত ব্যক্তি প্রান্তিক চাষি! সিআইডি তদন্তে নয়া মোড়

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অসমের ধানসিঁড়িখুঁটি গ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। পুলিশ দাবি করেছিল, যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি আর কেউ নন, কুখ্যাত ডাকাত কেনারাম বোরো।

Assam police shot dead a farmer

ডাকাত সন্দেহে চাষিকে গুলি অসম পুলিশের। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৭
Share: Save:

ডাকাত সন্দেহে পুলিশ যাঁকে গুলি করেছিল, তিনি কোনও ডাকাত নন, এক জন সাধারণ কৃষক। সিআইডি তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। ঘটনাটি অসমের।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অসমের রাওতা এলাকার ধানসিঁড়িখুঁটি গ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। পুলিশ দাবি করেছিল, যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি আর কেউ নন, কুখ্যাত ডাকাত কেনারাম বোরো। এর পরই কেনারামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাদের হাতে কেনারামের দেহ তুলে দেওয়া হয়। তাঁর সৎকারও করা হয়।

কিন্তু গোল বাধে অন্য জায়গায়। এই ঘটনার কয়েক দিন পরই মুছাহারি পরিবার দাবি করে, পুলিশের গুলিতে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তিনি কোনও ডাকাত নন, মুছাহারি পরিবারের ছেলে দিম্বেশ্বর মুছাহারি। এক জন প্রান্তিক চাষি। ফলে এখানে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। যাঁকে পুলিশ দাবি করেছে কুখ্যাত ডাকাত কেনারাম বোরো বলে, সেই ব্যক্তি কী ভাবে এক জন সাধারণ কৃষক হতে পারেন?

এই ধোয়াঁশা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন গত ২ মার্চ। সেই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই দেখা যায়, যে ব্যক্তিকে ডাকাত সন্দেহে গুলি করা হয়েছিল, তিনি আসলে এক জন কৃষক। কিন্তু অসম পুলিশের দাবি, মুছাহারিও এক জন ‘কুখ্যাত অপরাধী’।

অসম পুলিশের শীর্ষস্তরের এক আধিকারিকের দাবি, মুছাহারি ওরফে গোবলা ‘কুখ্যাত অপরাধী’। এর আগেও তাঁকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের খাতায় মুছাহারি এবং কেনারাম দু’জনেই পলাতক ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বড়োল্যান্ড-এর প্রাক্তন সদস্য কেনারাম। অসম এবং মেঘালয়ে ডাকাতি-সহ একাধিক অপরাধের মামলায় ‘ওয়ান্টেড’।

অন্য বিষয়গুলি:

Shot Dead Assam Farmer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE