আহত পুলিশকর্মী। ছবি: সংগৃহীত।
শেষমেশ সেনার হাতেই মার খেল পুলিশ! শুক্রবার গভীর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের গান্ডেরবাল জেলায় থানায় ঢুকে ৮ পুলিশকর্মীকে বেধড়ক পেটাল সেনারা।
অমরনাথে পুণ্যার্থীদের উপর জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বেশ কড়াকড়ি করে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। সম্প্রতি জঙ্গি হামলার পরই রাজ্য প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, রাতে কোনও পুণ্যার্থীকে অমরনাথে যেতে অনুমতি দেওয়া হবে না। এই উদ্দেশ্যেই রাতে টহল দিচ্ছিলেন গান্ডেরবাল থানার কয়েক জন পুলিশ। টহল দেওয়ার সময় তাঁরা দেখেন এক দল লোক তাঁদের দিকে এগিয়ে আসছে। কাছাকাছি আসতেই পুলিশ তাঁদের ধরে জেরা শুরু করে। তাঁরা কে? কোথা থেকে আসছেন? এত রাতে কেনই বা তাঁরা বেরিয়েছেন? জেরার মুখে পড়তেই মারমুখী হয়ে ওঠে ওই জওয়ানরা। পুলিশকর্মীরা ওই জওয়ানদের ধরে থানায় নিয়ে যান। তার পর কাছেরই সেনা ক্যাম্পের কম্যান্ডিং অফিসারকে ফোন করে বিষয়টি জানায় পুলিশ। থানা থেকে জওয়ানদের নিয়ে যাওয়ারও কথা বলা হয় সেই সেনা অফিসারকে। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল।
আরও পড়ুন: কথা বলে বিরোধ মেটাও, ভারত-চিন দু’পক্ষকেই পেন্টাগনের বার্তা
তখন প্রায় মধ্য রাত। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই এক দল সেনা এসে থানায় ঢুকে হামলা চালায়। সব কিছু ভাঙচুর করে। বেধড়ক মারধর করে থানায় থাকা পুলিশকর্মীদের। তার পর আটক জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে থানা ছেড়ে চলে যায় সেনারা। আহত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কাশ্মীর পুলিশের আইজি মুনির আহমেদ খান অবশ্য বিষয়টিকে ‘সামান্য’ বলেই পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন। বলেন, “কোনও পুলিশকর্মী আহত হননি। সেনার সঙ্গে পুলিশের ছোটখাটো বচসা হয়েছিল মাত্র। সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবেন।” বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়। যদিও পুলিশকর্মীদের থানায় ঢুকে মারার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। অভিযুক্ত সেনাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy