উত্তরপ্রদেশের মডেলেই বিহারে নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করতে চায় বিজেপি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সেই দিকে লক্ষ্যে রেখেই দিল্লি থেকে তাঁর ‘টিম’ পাঠাচ্ছেন পটনায়। দলীয় সূত্রে খবর, আজই দিল্লিতে বিহারের নির্বাচন সংক্রান্ত তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছে অমিত শাহ। সেই কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিহারের বর্তমান পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব এবং দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সৌদান সিংহ।
ওড়িশার নেতা ধর্মেন্দ্র লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বিহারে দলের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর হাত ধরেই লোকসভা ভোটে আসে দলের বিশাল সাফল্য। বিহারের রাজনীতির বিষয়েও তিনি ওয়াকিবহাল। বিহার এনডিএ-র অন্য শরিকদের সঙ্গেও তাঁর সর্ম্পক যথেষ্ট ভাল। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন ম্যানেজমেন্টের কাজেও দক্ষতা রয়েছে।
রাজস্থান, ছত্তীস্গঢ়়, হরিয়ানা—গত দু’বছরে যেখানে ভোটে বিজেপি বিপুল ভাবে জিতেছে সেখানে দায়িত্বে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র। দলে অরুণ জেটলির ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত তিনি। ভোট ম্যানেজমেন্টে দক্ষ, ঠান্ডা মাথার ভূপেন্দ্র দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কথা মন দিয়ে শোনেন। কোথাও দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলে না জড়়িয়েই সমস্যার সমাধানে সিদ্ধহস্ত রাজস্থান থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার এই সাংসদ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক সৌদান সিংহের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। সঙ্ঘের তরফেই তাঁকে বিজেপিতে পাঠানো হয়েছে। দিল্লিতে দলের সঙ্গে আরএসএসের সমন্বয়ের কাজটা তিনিই করেন। সেই সূত্রেই নাগপুর ও বিহারের আরএসএস নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল। ভূপেন্দ্রর মতোই নির্বাচন পরিচালনা ভালই বোঝেন সৌদান। আর এই ‘ত্রিফলা’য় নির্ভর করেই উত্তরপ্রদেশ মডেল প্রয়োগ করতে চাইছেন অমিত।
কী সেই মডেল? পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনের আগে যে কাজটা মুকুল রায় করতেন, সেটাই এই মডেলের প্রধান বিষয়। জেলা, ব্লক, গ্রাম ও বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ ও নিয়মিত সম্পর্ক রাখা। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। দলের কোন নেতা সংবাদ মাধ্যমে কী বলবেন, তা ঠিক করে দেওয়া। এই পদ্ধতিতে গুজরাতের নির্বাচনে সফল হয়েছে বিজেপি। অমিত মনে করেন, উপরের দিকের নেতাদের চেয়ে বুথস্তরের কর্মীদের কাছ থেকেই নির্বাচনের সঠিক ‘ফিডব্যাক’ পাওয়া যায়।
আর বিহারের মতো রাজ্যে বুথ থেকে জেলা, সর্বত্রই নিয়মিত তথ্য পাওয়া এবং তার সঠিক বিশ্লেষণ জরুরি। তা না হলে নীতীশ কুমার-লালুপ্রসাদদের কাছে গোহারা হারতে হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy