পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অতিথি নিবাসের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে সাইবার জালিয়াতেরা! ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন পুণ্যার্থী সেই ভুয়ো ওয়েবসাইটের ফাঁদে পড়েছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এমন বেশ কিছু ঘটনা নজরে এসেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পরিচালন কর্তৃপক্ষের। মন্দির পরিচালন সমিতিও এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখার সাইবার বিভাগে। ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
পুরীর হোটেল বুক করতে গিয়ে এর আগেও প্রচুর মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন হোটেলের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলেছে সাইবার প্রতারকেরা। ওই ওয়েবসাইট থেকে ঘর বুকিং করলেই টাকা চলে যায় প্রতারকদের কাছে। পুরীর বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে একাধিক বার সতর্ক করেছেন পর্যটকদের। পুলিশের কাছেও এ নিয়ে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে এত দিন ধরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরীর বিভিন্ন হোটেলের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলার অভিযোগ উঠছিল। এ বার পুরীর জগন্নাথধামের অতিথি নিবাসের নামেও ভুয়ো ওয়েবসাইটের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।
পুরীর মন্দির পরিচালন সমিতির মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধী সংবাদমাধ্যম ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’কে বলেন, “পুণ্যার্থীদের অনেকেই ভুয়ো ওয়েবসাইটের ফাঁদে পড়ে টাকা খুইয়েছেন। তাঁরা মন্দিরে কাছে কোনও থাকার জায়গা খুঁজছিলেন। আমরা এ বিষয়ে পুলিশের অপরাধদমন শাখার সাইবার বিভাগকে জানিয়েছি।”
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলির ধরন মন্দিরের অতিথি নিবাস বুকিংয়ের আসল ওয়েবসাইটের সঙ্গে অনেকটা মেলে । ফলে সেগুলি যে ভুয়ো, তা অনেক ক্ষেত্রেই বুঝতে পারেন না ব্যবহারকারীরা। ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখার এক কর্তা জানান, ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলি কারা চালাচ্ছেন, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কোনও সন্দেহজনক ওয়েবসাইট থেকে ঘর বুকিং না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অতীতে বিভিন্ন হোটেলের নামেও যে এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল, সে কথাও জানান ওই পুলিশ আধিকারিক।