— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গর্ভধারণের ৩২ সপ্তাহের মাথায় ধর্ষিতা নাবালিকার সন্তান রাখার সিদ্ধান্ত মেনে নিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ-ও জানাল, চাইলে ওই কিশোরী প্রসবের পরে শিশুটিকে তুলে দিতে পারে দত্তকের জন্য। এ বিষয়ে মেয়েটির সিদ্ধান্তই মেনে নেবে রাষ্ট্র। গত ২৪ জুলাই ১৫ বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের আবেদনের শুনানির সময়ে এমনটাই রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
৩২ সপ্তাহে গর্ভপাতের ঝুঁকি সম্পর্কে মেয়েটি এবং তার পরিবারকে বোঝানোর পর বিচারপতি শেখর বি সারাফ এবং মঞ্জিভে শুক্লর বেঞ্চ জানিয়েছে, সন্তান রেখে দেওয়া কিংবা গর্ভপাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট নারীই নিতে পারেন। এখানে তাঁর শারীরিক স্বায়ত্তের বিষয়টিই সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাবে, অন্য কারোর মতামত নয়।
২৪ জুলাইয়ের ওই আদেশে আরও বলা হয়েছে, ‘‘মেয়েটি যদি গর্ভাবস্থা অব্যাহত রাখতে চায়, তা হলে মেয়েটির সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া এবং ঘটনার যৎসম্ভব গোপনীয়তা রক্ষা করাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রকে এ-ও খেয়াল রাখতে হবে, শিশুটি যাতে দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত মৌলিক অধিকারগুলি থেকে বঞ্চিত না হয়।’’
প্রসঙ্গত, নির্যাতিতা কিশোরী স্কুলছাত্রী। মামার বাড়িতে থাকত সে। এক পুরুষ তাকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে একাধিক বার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রথমে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ ধারায় (অপহরণ) অভিযোগ দায়ের হলেও মেয়েটিকে উদ্ধারের পর ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা শুরু হয়। আদালতে গর্ভপাতের আবেদনের সময় ২৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিল সে।
ডাক্তারদের তিনটি পৃথক দল প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানিয়েছিল, এই সন্তানকে রাখতে চাওয়া নির্যাতিতার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই পর্যায়ে গর্ভপাত করানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে কিশোরীর প্রাণহানির ঝুঁকি পর্যন্ত রয়েছে। তা সত্ত্বেও কিশোরীর মা-বাবা গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত আবেদনকারী কিশোরী ও তার বাবা-মা শারীরিক ঝুঁকির কথা ভেবে গর্ভাবস্থা অব্যাহত রাখার পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy