জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর পাকিস্তানের সমর্থনে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। সেই অপরাধে অসমে ১১ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার খবরটি নিশ্চিত করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্ত আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনেও।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গিদের হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ওই ঘটনার পরেই সমাজমাধ্যমে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লিখে পোস্ট করেছিলেন ওই ১১ জন ব্যক্তি। এর পরেই তৎপর হয় অসম পুলিশ। তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন:
শনিবার রাজ্য বিজেপি অফিসে এক অনুষ্ঠানে হিমন্ত বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানপন্থী পোস্ট করার অভিযোগে শনিবার আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফলে অসমে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল ১১।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনও মিল নেই। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও নেই। আমাদের সে ভাবেই থাকতে হবে। আমরা সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট খতিয়ে দেখছি। যাঁদের পোস্ট আমাদের দেশবিরোধী বলে মনে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এর আগে বৃহস্পতিবার বিরোধী দল এআইইউডিএফের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম-সহ দু’জনকে ‘ভারতবিরোধী’ পোস্ট করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এঁদের মধ্যে এক জন কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা। শুক্রবার রাতেও শ্রীভূমি জেলা থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাছাড় জেলায় একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুই ব্যক্তিকে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তি কিংবা পাকিস্তানকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করলে অসম তা সহ্য করবে না।