ফাইল চিত্র।
আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশগুলি সে দেশের নাগরিকদের বুস্টার ডোজ় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, ভারতে সে রকম কিছু ভাবা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) সংস্থার প্রধান বলরাম ভার্গব। তাঁর কথায়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে শরীরে করোনার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক বছরের কাছাকাছি সক্রিয় থাকছে। তাই এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ়ের পরিবর্তে লক্ষ্য হওয়া উচিত সকলকে দু’ডোজ় প্রতিষেধকের আওতায় নিয়ে আসা।
দেশে ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। একেবারে গোড়ায় যে স্বাস্থ্য ও ফ্রন্টলাইন কর্মীরা প্রতিষেধক নিয়েছিলেন, তাঁদের দু’ডোজ় টিকা নেওয়ার পরে ছ’মাসের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। করোনা প্রতিষেধকের কারণে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মেয়াদ নিয়ে সংশয় থাকায় যে স্বাস্থ্য ও ফ্রন্টলাইন কর্মীরা একেবারে শুরুতে টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের বুস্টার ডোজ় দেওয়ার প্রশ্নে সরব হয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, যে হেতু ওই কর্মীরা করোনা রোগের বিরুদ্ধে লড়ার প্রশ্নে এখনও সমান ভাবে সক্রিয় তাই তাঁদের শরীরে যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে, তাই বুস্টার ডোজ় দেওয়া দরকার। আজ এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে আইসিএমআর সংস্থার প্রধান বলরাম ভার্গব বলেন, “এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ় নিয়ে আলোচনা যুক্তিযুক্ত নয়। আমাদের এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের পূর্ণবয়স্ক জনসংখ্যাকে দুই ডোজ় প্রতিষেধকের আওতায় নিয়ে আসা।” কেন এই মুহূর্তে বুস্টারের কথা ভাবা হচ্ছে না, সেই ব্যাখ্যায় তিনি বলেন— কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে টিকাকরণের পরে শরীরে করোনার বিরুদ্ধে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তা এক বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। ভারতে আইসিএমআর-এর বেঙ্গালুরু কেন্দ্রের গবেষণায় দেখা গিয়েছে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় থাকছে। অন্তত ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যা এক বছরের কাছাকাছি সময় ধরে কার্যক্ষম থাকছে। যে হেতু টিকার কারণে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি সক্রিয় রয়েছে, তাই নতুন করে সেই ব্যক্তিকে বুস্টার ডোজ় দেওয়া অর্থহীন। দেশে ৯৯ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম ডোজ় ও ৮৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতে দ্রুত দু’ডোজ় টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy