Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
akhilesh yadav

Akhilesh-Mamata: অখিলেশের পাশে মমতা

সোমবার অখিলেশ দৌত্য করতে কলকাতা পাঠাচ্ছেন এসপি-র রাষ্ট্রীয় সহ সভাপতি কিরণময় নন্দকে।

অখিলেশ সিংহ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অখিলেশ সিংহ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

অগ্নি রায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৪৯
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের মুখে লখনউয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করতে আগ্রহী এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব। রবিবার এসপি সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের দাবি, চলতি সপ্তাহে অখিলেশের সঙ্গে ফোনে এ ব্যাপারে প্রাথমিক কথা হয়েছে মমতার। মমতা উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, অখিলেশের সমর্থনে জনসভা করতে আগ্রহী তিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আগামী ২২ তারিখ পর্যন্ত কোনও জনসভা হবে না উত্তরপ্রদেশে। অখিলেশ শিবির এটাও মনে করছেন, গোটা জানুয়ারি মাসেই তা হবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই কবে জনসভার আয়োজন করা যাবে, সে জন্য অপেক্ষা না করে, যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি-বিরোধী জোরালো বার্তা দেওয়াটা সহজ হবে বলেই মনে করছেন এসপি নেতৃত্ব।

সোমবার অখিলেশ দৌত্য করতে কলকাতা পাঠাচ্ছেন এসপি-র রাষ্ট্রীয় সহ সভাপতি কিরণময় নন্দকে। তিনি কলকাতায় গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করবেন। তার পরে তৃণমূলনেত্রীর সুবিধামতো উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার দিন ক্ষণ স্থির হওয়ার কথা। কিরণময়ের কথায়, “বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিপুল জয়ের পর মমতা এখন বিজেপি-বিরোধিতার প্রতীক। তিনি উত্তরপ্রদেশে এসে সাংবাদিক বৈঠক করলে রাজ্যে নির্দিষ্ট বার্তাই শুধু যাবে না, উদ্দীপনাও তৈরি হবে।”

রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মমতা দিল্লি এসে জানিয়েছিলেন, অখিলেশের প্রয়োজন হলে তিনি পাশে দাঁড়াবেন। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর দল সম্প্রসারণের জন্য পদক্ষেপ করলেও উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলকে সে ভাবে সেই চেষ্টা করতে দেখা যায়নি। বরং তৃণমূল নেতৃত্ব এ কথাই বলেছেন, বিজেপির মোকাবিলা করার জন্য উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ সিংহ যাদব যথেষ্ট যোগ্য নেতা। ফলে সেখানে এসপি-র পাশে থাকাটাই কাম্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের ধারাবাহিক কংগ্রেস-বিরোধী অবস্থান এবং কংগ্রেস থেকে নেতা কর্মীদের নিজেদের দলে টানার মতো পদক্ষেপের পর বিরোধীদের একাংশের কাছে একটি বার্তা যাচ্ছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, বিরোধী ঐক্যে বিভাজন তৈরি করে আসলে নরেন্দ্র মোদীর হাতই শক্ত করতে চাইছে মমতার দল। ফলে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে দাঁড়িয়ে মোদী-বিরোধী বার্তা দিলে জাতীয় স্তরেও মমতার বিরোধী ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সমাজবাদী পার্টি শিবিরের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালগুলি এখন ফাঁকাই রয়েছে, ওমিক্রন-জনিত করোনা পরিস্থিতি আর ভয়াবহ নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংক্রমণের তত্ত্বকে সামনে রেখে সরকার জনসভা এড়াতে চাইছে অন্য কারণে। কিরণময়বাবুর বক্তব্য, “বিজেপির অন্য নেতাদের কথা ছেড়ে দিন,
মোদী বা যোগী আদিত্যনাথের সভাতেও চেয়ার ভরানো যাচ্ছিল না। অন্য দিকে অখিলেশের পদযাত্রায় মানুষের ঢল। স্বাভাবিক ভাবেই এই ছবি বার বার সামনে আসুক, এটা চাইছে না শাসক দল। তাই তারা যে কোনও ভাবে হোক, ভোট শুরুর আগে পর্যন্ত মাঠে-ময়দানের প্রচার বন্ধ রাখবে।” এসপি সূত্রের খবর, আরএলডি-সহ বাকি শরিকদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পরে ৩৫০টি আসনে লড়বে তারা।

অন্য বিষয়গুলি:

akhilesh yadav Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE