ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠনের পর গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারতের উদ্বেগ স্বাভাবিক ভাবেই সব থেকে বেশি। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল সকালে আমেরিকার বিমান ধরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশে কোভিড সংক্রমণের পর প্রথম প্রতিবেশী বলয়ের বাইরে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আমাদের জন্য উদ্বেগের তো বটেই, আমেরিকার জন্যও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সন্ত্রাসবাদ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের মোকাবিলা নিয়ে ভারত সবিস্তারে কথা বলবে সে দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ঠিকই, তবে আমরা অবশ্যই তাদের কাবুল পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলব।”
বিদেশসচিবের কথায়, আফগানিস্তান প্রসঙ্গটি মোদীর তিন দিনের সফরে বিভিন্ন মঞ্চে অবশ্যই তোলা হবে। পাকিস্তানের নাম না করে আজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তালিবান সরকারে হক্কানি নেটওয়ার্কের প্রাধান্য ভারতের কাছে উদ্বেগের। তা আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলবেন প্রধানমন্ত্রী। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা ইমরানের আগে। সেখানে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হতে দেখা যাবে মোদীকে। বিদেশসচিবের কথায়, “আমাদের সভাপতিত্বেই গত মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে অন্য কোনও দেশ যেন সন্ত্রাসে মদত না দেয়। নন-স্টেট অ্যাক্টরদের উপরেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।”
আফগানিস্তানের পাশাপাশি মোদী-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় গুরুত্ব পেতে চলেছে কোভিড প্রতিষেধকের বণ্টন, উৎপাদন এবং রফতানি, উষ্ণায়ন, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মুক্তবাণিজ্যের দিকগুলি। বিদেশসচিবের কথায়, “আমেরিকা তাদের প্রতিষেধক নীতি ক্রমশই সহজ করছে। ভারতীয় ছাত্রদের আমেরিকার ভিসা দেওয়ার সমস্যা এখন মিটে গিয়েছে। এখন ভারতীয় পেশাদারদেরও দু’টি দেশজ প্রতিষেধকের ডোজ নেওয়া থাকলে আমেরিকা যাত্রার পথ সুগম করার প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা হবে।” বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতে যে ভাবে প্রতিষেধক উৎপাদন বাড়ছে, তাতে কিছু দিন পরই টিকা উদ্বৃত্ত হবে। তখন অবশ্যই তা প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy