গুঁড়িয়ে দেওয়া হল নয়ডার সুপারটেক গোষ্ঠীর যমজ ইমারত
বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে রবিবার দুপুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল নয়ডার সুপারটেক গোষ্ঠীর যমজ ইমারত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নজিরবিহীন ভাবে ‘টুইন টাওয়ার’ ভেঙে দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে, বেআইনি ভাবে যখন নির্মাণ চলছিল, তখনই কেন তা আটকে দেওয়া হল না? শুধু তাই নয়, ওই ইমারত তৈরিতে অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় নয়ডা কর্তৃপক্ষের যে সব আধিকারিকেরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সুপারটেক গোষ্ঠী এবং নয়ডা কর্তৃপক্ষের মধ্যে কী গোপন আঁতাঁত হয়েছিল, সে বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে গত বছর বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সিটের সেই তদন্তে উঠে এসেছে নয়ডা কর্তৃপক্ষের ২৬ জন আধিকারিকের নাম। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘টুইন টাওয়ার’-এর পরিবর্তিত নকশায় অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই ২৬ জনের মধ্যে রয়েছে ২০ জন ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চার জন কর্মরত। সিটের রিপোর্টের ভিত্তিতেই গত বছর ৪ অক্টোবর সুপারটেকের চার অধিকর্তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। লখনউয়ের ভিজিল্যান্স দফতরও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে ছাড়পত্র দেওয়ায় নয়ডার দমকল বিভাগের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। যদিও ওই আধিকারিক ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন।
সুপারটেক, নয়ডা কর্তৃপক্ষ এবং দমকল বিভাগের এত জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে নিয়ম না-মানার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হল না, এখন এই প্রশ্ন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy