মহম্মদ আখলাক। ফাইল চিত্র।
চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে মহম্মদ আখলাক খুনে অভিযুক্তদের। আর তাঁদের এই চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক তেজপাল সিংহ নাগার।
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতি করলে বহিষ্কারের নির্দেশ আদালতের
আখলাক খুনের ঘটনায় রবিন সিসৌদিয়া-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে রবিন বিচারাধীন অবস্থায় জেলেই মারা যায়। বাকি অভিযুক্তরা এখন জামিনে মুক্ত। নিউজ এইট্টিন-কে নাগার জানান, রবিনের স্ত্রীকে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আর ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৮ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। তিনি আরও জানান, যাঁরা জামিনে মুক্ত তাঁদের জন্যও বেসরকারি সংস্থায় চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। আখলাকের খুনের মামলায় জড়িয়ে অভিযুক্তেরা তাঁদের চাকরি খোয়ায়। এ প্রসঙ্গে নাগার জানান, যদি কোনও আইনি ঝামেলা না থাকে, তা হলে এঁদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা যেতেই পারে। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থার ঠিকাদারদের সঙ্গেও নাকি কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপমান করতেই ডাক: তেজপ্রতাপ
প্রায় দু’বছর হয়ে গিয়েছে আখলাক খুন হয়েছেন। তার পর অনেক জল গড়িয়েছে। দেশ তোলপাড় হয়েছে এই ঘটনায়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের এ ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস কী ভাবে দেন এক জন বিধায়ক? দাদার খুনে অভিযুক্তদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে মহম্মদ জানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, আখলাক খুনের প্রায় দু’বছর পার হতে চলল, অভিযুক্তরা জামিন তো পেয়েইছে, এমনকী এই মামলার কোনও চার্জ গঠন হয়নি এখনও পর্যন্ত।”
আখলাক খুনে অভিযুক্তদের চাকরি দেওয়ার খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয় জাতীয় স্তরের এক দৈনিক হিন্দি পত্রিকায়। তার পরই বিষয়টা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
দিনটা ছিল ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫। উত্তরপ্রদেশের দাদরি পরগনার বিসারা গ্রামে ৫০ বছরের মহম্মদ আখলাককে পাথর দিয়ে পিটিয়ে খুন করে জনতা। তিনি গোমাংস খেয়েছিলেন বলে গ্রামে গুজব ছড়িয়েছিল। এমনকী তাঁর বাড়ি থেকে গোমাংস পাওয়া গিয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছিল। আখলাকের ছোট ছেলে দানিশকেও মারধর করা হয়। ওই গ্রামের মন্দিরে একটি ঘোষণা থেকেই সে দিন রাতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy