ধর্ষণে অভিযুক্ত জালন্ধরের বিশপ ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কাল।
পুলিশ তাঁর নামে হাজিরার নোটিস জারি করতেই ডায়োসেস পরিচালনার দায়িত্ব এক প্রবীণ যাজকের হাতে তুলে দিলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত জালন্ধরের বিশপ ফ্র্যাঙ্কো মুলাক্কাল। ১২ সেপ্টেম্বর তাঁকে চিঠি পাঠায় জালন্ধর পুলিশ। ১৯ তারিখ কেরল পুলিশের সামনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তিনি তাঁকে বারংবার ধর্ষণ করেছেন বলে ফ্র্যাঙ্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগ কেরলের এক সন্ন্যাসিনীর।
সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ মনসিগনর ম্যাথু কোক্কানদমকে দায়িত্বভার হস্তান্তরের কথা জানানোর পাশাপাশি নির্দেশিকায় ফ্র্যাঙ্কো বলেন, ‘‘মিডিয়া থেকে নিশ্চয়ই জেনেছেন যে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে যা প্রমাণ এসেছে তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তবে কেরলের তদন্তকারী অফিসারের তলবে ভবিষ্যতে আমাকে বেশ কয়েক বার কেরলে যেতে হতে পারে।’’
ফ্র্যাঙ্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ভ্যাটিকানের নজরে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ভারত থেকে চার্চের এক প্রতিনিধি ভ্যাটিকানে গিয়েছেন। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। সম্প্রতি বিচার চেয়ে ভ্যাটিকানের কাছে দরবার করেছিলেন ওই সন্ন্যাসিনী। চার্চের কাছে অভিযুক্ত বিশপকে জালন্ধর ডায়োসেসের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।
তাঁর প্রশ্ন, যখন সাহস সঞ্চয় করে তিনি খোলাখুলি নির্যাতনের বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন, তখন চার্চ কেন সত্যিটা থেকে চোখ ফিরিয়ে রেখেছে? রাজনৈতিক এবং আর্থিক জোর খাটিয়ে ফ্র্যাঙ্কো মামলাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই সন্ন্যাসিনী। অন্য দিকে যাবতীয় অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন এবং সাজানো’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফ্র্যাঙ্কো। তাঁর
পাল্টা অভিযোগ, চার্চ ওই সন্ন্যাসিনীকে সুবিধে পাইয়ে দিতে অস্বীকার করায় এই ধরনের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy