বীরাপ্পন। ফাইল চিত্র।
প্রায় দু’দশকের পুরনো মামলায় রেহাই মিলল বীরাপ্পনের ৯ শাগরেদের।কন্নড় ছবির সুপারস্টার প্রয়াত রাজকুমারের অপহরণে অভিযুক্ত তারা। তবে এত বছরেও তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করা যায়নি। তাই তাদের বেকসুর খালাস করল তামিলনাড়ুর একটি আদালত। মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর ইরোডের গোবিছেত্তিপলায়মের দায়রা আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণা ছিল। সেখানে তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মণি বলেন, এত বছরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। সাক্ষীদের বয়ানেও তেমন কিছু হাতে আসেনি। খামোখা মামলা টেনে নিয়ে যাওয়ার মানে হয় না।
২০০০-এর ৩০ জুলাইয়ের ঘটনা। ইরোড জেলার থালাওয়াড়ির ধোড্ডা গজানুর গ্রামে নিজের ফার্ম হাউসে সময় কাটাচ্ছিলেন রাজকুমার। ডাকাত সর্দার বীরাপ্পন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা সেখান থেকেতাঁকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। থালাওয়াড়ির কাছে জঙ্গলে রাজকুমারকে বন্দি করে রাখে তারা। মুক্তি দেয় ১০৮ দিন পর।
সেই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকের মধ্যে তিক্ততা চরমে ওঠে। রাজকুমার বন্দিদশা কাটিয়ে ফিরলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। যার পর বীরাপ্পন এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অপহরণ, বেআইনি অস্ত্র সমেত একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। ২০০৪ সালে ধরমপুরিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বীরাপ্পনও তার তিন সঙ্গীর। বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। পরে যদিও জামিন পেয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: দুই মহিলাকে এক সঙ্গে থাকার অনুমতি দিল কেরল হাইকোর্ট
আরও পড়ুন: আধার কার্ড বৈধ কি না, সুপ্রিম কোর্ট জানাবে কাল
সেই থেকে মামলা চলছিল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রায় ঘোষণা হল মঙ্গলবার। রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে হাজির ছিল আট অভিযুক্ত। শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে আসেনি শুধু পুট্টুস্বামী।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy