চোখেমুখে দুশ্চিন্তার কোনও ছাপ নেই। পরিচিত সাদা শার্টে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই সকালে পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালতে ঢুকলেন। আন্দিমুথু রাজা। টু-জি মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকেই ইউপিএ-সরকারের পতনের অন্যতম কারণ বলা হয়। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজা বললেন, ‘‘রাতে ভালই ঘুমিয়েছিলাম। ঘণ্টাছয়েক তো বটেই। ব্রেকফাস্টে দু’টো ইডলি খেয়ে চলে এলাম।’’
টু-জি স্পেকট্রাম মামলার রায় ঘোষণার কিছু আগেই স্ত্রী-কন্যাকে পাশে নিয়ে কোর্ট চত্বরে চলে আসেন রাজা। ডিএমকে-র নেতাদের সঙ্গে হাসিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন।
প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, সকালে নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করেছেন। যেমনটা সিবিআই হেফাজতে দীর্ঘ জেরার ফাঁকে করতেন। সিবিআই অফিসারেরা অপেক্ষা করতেন, কখন রাজার শরীরচর্চা শেষ হবে!
টু-জি মামলার রায় জানতে ডিএমকে-র প্রবীণ নেতা টি আর বালু, তিরুচি সিলভা, টিকেএস ইলোঙ্গাভানরাও এ দিন কোর্টে হাজির ছিলেন। রাজার নিজের এলাকা, উটি-র পেরামবালুর থেকে কয়েক’শো সমর্থক পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। সঙ্গে ছিল লাড্ডু, আতসবাজি। যেন জানতেন, রায় কী হতে চলেছে। অন্য দিকে সাহিদ বালওয়া, শরদ কুমারের মতো কর্পোরেট জগতের অভিযুক্তরা কিন্তু চোখেমুখে বিপুল উদ্বেগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
রাজার সমর্থকদের লাড্ডু-আতসবাজি অপচয় হয়নি। সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক ও পি সাইনি সকাল ১০টা ৪০ মিনিয়ে রায় ঘোষণা শুরু করলেন। মূল অংশ পড়তে কয়েক সেকেন্ড। সকলকে নির্দোষ ঘোষণা করল আদালত। তামিলে বিজয় বা ‘ভেটরি’ বলে চিৎকার করে উৎসব শুরু হয়ে গেল কোর্ট চত্বরেই!
করুণানিধি-কন্যা কানিমোঝি অবশ্য এতখানি চিন্তামুক্ত ছিলেন না। বোনের সাহস বাড়াতে দাদা এম কে স্ট্যালিন নিজের জামাই, ডিএমকে-র কার্যকরী সভাপতি সবরীশকে পাঠিয়েছিলেন চেন্নাই থেকে। তা সত্ত্বেও স্বামীর পাশে দাঁড়ানো কানিমোঝিকে বেশ নার্ভাসই লাগছিল। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সেটা বোঝা গেল। কেঁদে ফেললেন কানিমোঝি। রাজার মুখে তখন চওড়া হাসি।
রায় নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি রাজা। সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘আপনারা সবাই ভুল প্রমাণিত হলেন। কিন্তু আমি আইনজীবী। রায় ভালো করে পড়ে দেখি। তার পর সিএজি সম্পর্কে যা বলার বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy