৬ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের পর দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তার কাকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের দুর্গে। সোমবার দুর্গ সিটি পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে গাড়ি থেকে একটি শিশুর দেহ পাওয়া গিয়েছিল। আগেই শিশুটির পরিবার অপহরণের অভিযোগ করেছিল থানায়। মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে তার কাকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও দু’জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
গত রবিবার দিদিমার বাড়িতে গিয়েছিল ৬ বছরের মেয়েটি। নবরাত্রি উপলক্ষে তার দিদিমা এবং পরিবারের অন্যেরা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সে সময় বাড়িতে ছিল মেয়েটি এবং তার কাকা। অভিযোগ, ওই সুযোগে ভাইঝিকে ধর্ষণ করেন কাকা। তাঁর সঙ্গে আরও কেউ ছিলেন কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করতে খুন করে দেওয়া হয় শিশুটিকে। তার পর দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির সামনে রাখা একটি গাড়িতে।
বাড়ি ফিরে ছোট্ট মেয়েটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করে পরিবার। কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় তারা। রাতের দিকে মেয়েটির নিথর দেহ মেলে বাড়ির সামনে দাঁড় করানো গাড়ির মধ্যে। শুরু হয় শোরগোল। ওই রাতেই ক্ষুব্ধ জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। শিশুটির দেহ নিয়ে থানার সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিছু ক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সেই সঙ্গে মেয়েটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকদের রিপোর্টে যৌন হেনস্থার প্রমাণ মিলেছে। অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মেয়েটির কাকা, যে গাড়িতে মেয়েটির দেহ পাওয়া গিয়েছে, তার মালিক এবং আরও এক জন। পুলিশ জানাচ্ছে, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুনের পর গাড়িতে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।