ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (এআইএমপিএলবি)। বোর্ডের তরফে সোমবার এ কথা জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই নতুন ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত আবেদনগুলি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছে। সেই তালিকাতেই স্থান পেতে পারে এআইএমপিএলবির আর্জিটিও।
প্রসঙ্গত, মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ, ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ জাভেদ এবং আম আদমি পার্টি (আপ)-র বিধায়ক আমানতুল্লাহ খান-সহ অন্যদের ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আবেদনগুলির জরুরি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাতে সম্মতিও দিয়েছে। এআইএমপিএলবির মুখপাত্র এসকিউআর ইলিয়াস সোমবার বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাচারী, বৈষম্যমূলক, নেতিবাচক আইন ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত ২৫ এবং ২৬ ধারার পরিপন্থী।’’
পাশাপাশি, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন মুসলিমদের নিজস্ব ধর্মীয় সংস্থা ওয়াকফ বোর্ডে ‘অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপে’র পথ প্রশস্ত করেছে বলেও ইলিয়াসের অভিযোগ। প্রসঙ্গত, টানা ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পরে গত বুধবার মধ্যরাতে লোকসভায় পাশ হয়েছিল ওয়াকফ বিল। পক্ষে ২৮৮ এবং বিপক্ষে ২৩২টি ভোট পড়েছিল। প্রায় ১৩ ঘণ্টা বিতর্কের পরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও ১২৮-৯৫ ভোটে পাশ হয় বিলটি। শনিবার রাষ্ট্রপতি বিলে সই করেন। নতুন বিলে ওয়াকফ কাউন্সিলে এই প্রথম বার দু’জন অমুসলিমকে স্থান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা আদতে মুসলিমদের স্বাধীন ধর্মাচরণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী বলে বিরোধী শিবির এবং মুসলিম সংগঠনগুলির অভিযোগ।