অবশেষে মুখ খুললেন ইশান খট্টর। পহেলগাঁওয়ের নারকীয় ঘটনায় বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা নিয়ে যখন দেশবাসী প্রতিবাদী, তখনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তিনি। ঈশানের আহ্বান, “নিজের দেশের হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। এতে সন্ত্রাসবাদ জিতে যাবে।” তিনিও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, এর জন্য কিন্তু ভারতীয় মুসলিমরা দায়ী নন। দায়ী সন্ত্রাসবাদীরা। মনে করিয়ে দিয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কথা। “কাশ্মীরের একটি বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেশত্যাগে বাধ্য করা থেকে শুরু করে অমরনাথ যাত্রীদের উপর আক্রমণ সেই তালিকায়। সেই ইতিহাস মনে করে দুই ধর্মের মানুষকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য”, দাবি তাঁর।
ইতিমধ্যেই বলিউডে ফের নিষিদ্ধ পাকিস্তানি অভিনেতারা। তাঁদের ছবি মুক্তি পাবে না ভারতে। তালিকায় ফওয়াদ খানের ‘আবীর গুলাল’। পাক অভিনেতার সঙ্গে অভিনয়ের কারণে কটাক্ষের শিকার বাণী কপূর। পাশাপাশি, নতুন ছবির প্রচারধর্মী অনুষ্ঠানও বাতিল হচ্ছে বলিউডে। এমন অস্থির আবহে ঈশানের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন মায়ানগরীর সিংহভাগ অভিনেতা। তাঁরা তাই অভিনেতার মন্তব্যবাক্সে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। অভিনেতাকে শুভ ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরাও।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে বার্তা দিতে গিয়ে ঈশান আর কী বলেছেন? তিনি সম্প্রতি তারা সুতারিয়ার সঙ্গে আগামী ছবি ‘প্যায়ার আতা হ্যায়’-এর গানের শুটিং করতে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তাঁর লেখায়, “মাত্র দু’মাস আগে পহেলগাঁওয়ে ছিলাম। সেখানকার মানুষদের থেকে যে আন্তরিকতা, আতিথেয়তা পেয়েছি তা আজীবন মনে রাখব। কিছু সুন্দর মনের মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। ফলে, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা যে তাঁদের জীবনেও কালো ছায়া ফেলল— এ কথা কী করে অস্বীকার করি?” তাঁর পাল্টা যুক্তি, ভুলে গেলে চলবে না, এর আগেও সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় বারে বারে কাশ্মীর রক্তাক্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে কাশ্মীরিদের স্বাভাবিক জীবন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, পর্যটন শিল্প। অর্থাৎ, সন্ত্রাসবাদ ওঁদের জীবনও নষ্ট করে।
এই অনুভূতি থেকেই অভিনেতার দাবি, অকারণ ধর্মীয় অস্থিরতা না ছড়ানোই শ্রেয়। ঘৃণায় অন্ধ না হয়ে যাতে সকলে ন্যায়বিচার পান সে দিকে নজর রাখা উচিত। তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি নয়, ধর্ম নয়, আমাদের হাতিয়ার হোক মানবতা। আমাদের আরও সংবেদনশীল হতে হবে। তবে প্রমাণিত হবে, আমরা মানুষ।”
- পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
- জবাবে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশে প্রত্যাঘাত করা হয়। ভারতীয় সেনার দাবি, পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
-
১৮:২৪
পাক যুদ্ধবিমান-ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দিয়ে শূন্যে ‘হিরোগিরি’, সেনার পাশাপাশি লগ্নিকারীদের পকেট ভরাল ‘আকাশ’ -
সরাসরি
১৭:৫৮
আজ বিকেল ৫টা থেকে ভারত আর পাকিস্তান সব ধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ভারতীয় বিদেশসচিব -
১৭:৩৮
‘যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে গিয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান’! দু’পক্ষের ‘বাস্তবজ্ঞান’কে স্বাগত জানিয়ে ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প -
১৭:৩৪
যে কোনও সময় খালি করতে হতে পারে সীমান্তবর্তী গ্রাম! গুজরাতে জরুরি সতর্কতা জেলাশাসকদের -
১৭:২৯
‘আত্মরক্ষার জন্য লড়ছি’! পাক প্রেসিডেন্ট জারদারির সাফাই, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বললেন, ‘হামলায় প্রতিশোধ নিয়েছি’