অভিযুক্তদের উদ্ধার করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
দীর্ঘ দিন ধরেই এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল পাঁচ কিশোরের বিরুদ্ধে। পুলিশে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ নিজের হাতেই আইন তুলে নিল ক্রুদ্ধ জনতা। ওই পাঁচ কিশোরকে তাদের বাড়ি থেকে টেনে বার করে আনল পড়শিরা। এর পর নগ্ন করে রাস্তায় ফেলে গভীর রাত পর্যন্ত চলল বেধড়ক মারধর। রক্তাক্ত অবস্থায় এক কিশোর মাটিতে পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত থামল না লাথি-ঘুষি-কিল-চড়। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের উদ্ধার করে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তারা সকলেই চিত্তুরের পুঁগনুরু শহরের বাসিন্দা। ওই এলাকাতেই নাবালিকারও বাড়ি। অভিযোগ, মাস দু’য়েক ধরেই তার উপর যৌন নির্যাতন করছে ওই পাঁচ জন। বুধবার রাতে তাদের উদ্ধার করার পর ওই কিশোরদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, সপ্তাহের পর সপ্তাহ তাদের মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে ওই ছেলেরা। এ নিয়ে কাউকে কিছু না জানানোরও হুমকি দেওয়া হয় ওই মেয়েটিকে। প্রথম এ নিয়ে মুখ না খুললেও শেষে মায়ের কাছে সব খুলে বলে ওই মেয়েটি। মেয়েটির মা তাঁর ছেলে এবং এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের বিষয়টি জানান। এর পর সকলে মিলে পুলিশে অভিযোগ জানাতে যান। পরিবারের দাবি, তাঁদের কোনও কথাতেই কান দেয়নি পুলিশ। এর পর গত কাল রাতে অভিযুক্তদের উপর চড়াও হয় জনতা।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে খোলা আকাশের নীচে গণধর্ষণ খাস কলকাতায়!
আরও পড়ুন: নাটক কোরো না, তুতিকোরিনে গুলিবিদ্ধকে ধমক পুলিশের, ভিডিও প্রকাশ্যে
পুলিশের এক আধিকারিক টি শ্রীনাথ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ জনেরই পর্ন ফিল্মের প্রতি আসক্তি রয়েছে। মোবাইল ফোনেই সারা ক্ষণ পর্ন ছবি দেখত তারা। শ্রীনাথের কথায়, “এই অপরাধের পিছনে বোধহয় পর্নে আসক্তিই দায়ী।” ধর্ষণ ছাড়াও নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতনের ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy