আপাতত ইন্ডিগো-র ৮টি বিমানের উড়ান বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত।
নিষেধাজ্ঞার কোপ পড়তেই একসঙ্গে ৬৫টি উড়ান বাতিল করল ইন্ডিগো এবং গোএয়ার। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিগোর ৪৭টি এবং গোএয়ার-এর ১৮টি উড়ান। মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ওই দুই বিমান সংস্থা। এই সিদ্ধান্তে যারপরনাই বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় সোমবারই ১১টি এয়ারবাস এ৩২০-নিও বিমানের উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অসামরিক বিমান মন্ত্রক। মন্ত্রকের অধীনস্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিএয়েশন (ডিজিসিএ) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, বিমান চলাচলে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পিডব্লিউ ১১০০ ইঞ্জিনযুক্ত ১১টি এ৩২০ বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হল। যাত্রী সুরক্ষায় ঝুঁকি থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল ডিজিসিএ। ওই ১১টি বিমানেই মার্কিন সংস্থার প্র্যাট অ্যান্ট হুইটনি-র ইঞ্জিন রয়েছে।
এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইন্ডিগো এবং গোএয়ার। কারণ, ওই ১১টির মধ্যে ইন্ডিগো-র ৮টি এবং গোএয়ার-এর ৩টি বিমান রয়েছে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু-সহ একাধিক শহর থেকে প্রতি দিন প্রায় এক হাজার ইন্ডিগো-র বিমান ছাড়ার কথা ছিল। পাশাপাশি, দেশের ৮টি শহর থেকে সারা দিনে গোএয়ার-এর ২৩০টি উড়ান যাতায়াত করে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ফলে আপাতত ওই বিমানগুলির উড়ান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ওই দুই সংস্থার কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন
রক্তাক্ত পায়ের ভারতের পাশে ইন্ডিয়া
স্বাভাবিক ভাবেই এতে বিপত্তিতে পড়েছেন অংসখ্য যাত্রী। পরিস্থিতি সামলাতে ওই যাত্রীদের অন্য বিমানে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইন্ডিগো-র মুখপাত্র। ইন্ডিগো-র তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই যাত্রীদের অন্য বিমানে করে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট উড়ানটি বাতিলও করতে পারবেন তাঁরা।
গত কালই লখনউগামী ইন্ডিগো-র একটি বিমানের ইঞ্জিন মাঝআকাশে বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই তা অমদাবাদে অবতরণ করেন বিমানচালক। এর পরেই নড়েচড়ে বসে ডিজিসিএ। সে দিনই ওই ধরনের ত্রুটিযুক্ত ইঞ্জিন রয়েছে এমন বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। তবে ঠিক কত দিন পর্যন্ত ডিজিসিএ-র এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে ওই দুই বিমান সংস্থা। গোএয়ার-এর মুখপাত্র বলেন, “আমরা এখনও জানি না, কত দিন পর্যন্ত ওই বিমান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।”
আরও পড়ুন
ভুল কেন্দ্রে ছাত্রী, বাইকে বসিয়ে ছুটল পুলিশ
যে সংস্থার ইঞ্জিনকে ঘিরে এত কাণ্ড সেই প্র্যাট অ্যান্ট হুইটনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইঞ্জিনের ত্রুটি দূর করার জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন ডিজিসিএ কর্তৃপক্ষও। ওই নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে প্র্যাট অ্যান্ট হুইটনি-সহ ওই বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে মিলে গোটা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy