ঘাঁটি: ডোকা লা অঞ্চলে সেনা বাঙ্কার।নিজস্ব চিত্র।
ঢিল পড়েছে জায়গা মতো। আর তাতেই গর্জন শুরু করেছে ড্রাগন।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, সিকিম সীমান্তে গোপন ঘাঁটি তৈরি করছিল বেজিং। ভুটানের সাহায্যে তাকে আঘাত করে গোটা বিষয়টিকে ভারত প্রকাশ্যে নিয়ে আসার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে চিন। দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি।
ভুটান, চিন এবং ভারত (সিকিম)— এই তিনটি রাষ্ট্রের সীমান্ত যেখানে মিশেছে, সেখানেই বিতর্কিত ডোকা লা মালভূমি। যে ৭৬৪ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ডের দখল নিয়ে ভুটানের সঙ্গে চিনের দীর্ঘকালীন চাপানউতোর চলছে, ডোকা লা অবস্থিত সেখানেই। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এখানেই চিন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছিল, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার প্রশ্নে মাথাব্যথার বড় কারণ। সম্প্রতি সেই কাজে বাধা পেয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে চিন। আজ তাদের সরকারি মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং মন্তব্য করেছেন, ‘‘চিনের ভূখণ্ডে অন্য দেশের নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না।’’
আরও পড়ুন: ডোকা লা-য় মুখোমুখি ৮ হাজার সেনা
ডোকা লা-য় চিন পরিকাঠামো গড়লে দিল্লির অস্বস্তির কারণ কী?
সাউথ ব্লকের বক্তব্য, এই উপত্যকা থেকে ‘শিলিগুড়ি করিডর’-এর দূরত্ব বেশি নয়। এখান থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে সহজেই পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। চিনের প্রবণতা এবং অতীতের রেকর্ড থেকে স্পষ্ট যে সড়ক গড়ার নাম করে সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করতে চায় বেজিং। আর তা ভারতকে নিশানায় রেখেই।
এই নিয়ে থিম্পুর সঙ্গে বিস্তারিত কথা চলছিল নয়াদিল্লির। ভুটানের সঙ্গে চিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে। উল্টে ভূখণ্ডের দখল নিয়ে চিনের সঙ্গে দফায় দফায় চাপানউতোর চলছে তাদের। এই পরিপ্রেক্ষিতে থিম্পুকে পাশে পেয়েছে দিল্লি।
এই পরিস্থিতিতে ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারতকে ‘শিক্ষা’ দেওয়া দরকার। চিনের নীরবতাকে যেন দুর্বলতা না ভাবা হয়। ‘গ্লোবাল টাইমস’ লিখেছে, ভারতীয় সেনারা ‘উদ্ধত।’ তারাই তিব্বতে ঢুকছে। ভারতীয় বাহিনী সরলে তাদের উপযুক্ত নিয়ম নীতি শেখাবে চিন।
ভারত অবশ্য এখনও নীরবতাই বজায় রেখেছে। তবে সাউথ ব্লক সূত্রের দাবি, ভুটানের সহযোগিতায় ওই এলাকায় চিনের রাস্তা তৈরির কাজে বাধা দেওয়া হয়।। তার পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy