লোকসভা ভোটের ‘আঁতাঁত’ নিয়ে এ বার কংগ্রেসের কোর্টেই বল ঠেললেন আরজেডি শীর্ষ নেতালালু প্রসাদ যাদব। গতকালের অবস্থান থেকে আজ কার্যত একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে লালু বললেন, “আশা করি এ নিয়ে সনিয়া গাঁধী হস্তক্ষেপ করবেন।”
গতকাল তিনি জানিয়েছিলেন, নির্বাচনী জোট নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব কিছু না-জানালে তিনি অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আজ আরজেডির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের পর লালু বলেন, “আসন সংখ্যা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেওয়া যেতেই পারে। আমি খোলা মনে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।”
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লালু-পত্নী রাবড়ী দেবীর সরকারি বাসভবনে দুপুর তিনটে নাগাদ আরজেডির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক শুরু হয়। দলীয় সূত্রের খবর, প্রার্থী মনোনয়ন এবং জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার লালু প্রসাদের হাতেই ছেড়েছেন দলের নেতারা। আরজেডি সাংসদ রামকৃপাল যাদব বলেন, “লালু প্রসাদই জোট এবং প্রার্থী তালিকার বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন।” দলের অন্য
সাংসদ রঘুবংশ প্রসাদ বলেন, “দু’তিন দিনের মধ্যে জোটের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ১১টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি বলে আগেই জানিয়েছেন লালু। একটি আসন দিতে পারেন শরদ পাওয়ারের এনসিপি-কে। আরজেডি শীর্ষ নেতার বক্তব্য, “১১টি আসন কংগ্রেসকে দিয়েছি। তাঁরা যদি আরও দু’একটি আসন চায়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আশা করি, এ নিয়ে সনিয়া গাঁধী নিজেই হস্তক্ষেপ করবেন। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।” তবে, এ জন্য কংগ্রেসকে আপাতত কোনও সময়সীমা দেয়নি আরজেডি।
অন্য দিকে, জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ শিবানন্দ তিওয়ারি আরজেডিতে যোগ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “লালু প্রসাদ চাইলে আরজেডিতে যোগ দিতে পারি।” ২০০৮ সালে আরজেডি ছেড়েই জেডিইউয়ে যোগ দিয়েছিলেন শিবানন্দ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy