পিসিওএস থাকলে খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণ হলে ঋতুস্রাবও ধীরে ধীরে নিয়মিত হয়ে যাবে এবং এই সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। চিকিৎসকদের মতে, পিসিওএস থাকলে হাই ফাইবার, লো-কার্ব ডায়েট মেনে চলতে হবে। মানে ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট কম খেয়ে শাক-সব্জি, ডাল এগুলি বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। মাটির তলার সব্জি, যেমন আলু, শাঁকালু, গাজর, বিট একটু কম খাওয়াই ভাল।
পুষ্টিবিদেরা বলান, পিসিওএস থাকলে বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তা হলে ভালমন্দ কিছু খেতে ইচ্ছে করলে কী খাবেন? পিসিওএস থাকলে সকালের জলখাবারে ওট্স রাখতে পারেন। ওট্সের স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। তবে স্মুদিতে সাধারণ দুধের বদলে আমন্ড দুধ ব্যবহার করুন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি কিংবা অন্য কোনও ফল ব্যবহার করতে পারেন। আর বিকেলের দিকে কিছু খেতে ইচ্ছে করলে, চপ-কাটলেটের বদলে বানিয়ে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর কিছু স্ন্যাক্স।
মুগ ডালের চিলা
মুগ ডাল বাটা কিংবা বেসনের সঙ্গে সব রকম সব্জি মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চিলা। এই খাবারটি খেলে বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে। ভাল মাত্রায় প্রোটিনও যায় শরীরে।
নাট বাটার এনার্জি বল
এক কাপের মতো রোল্ড ওট্স, আধ কাপ মাখন, আধ কাপের মতো মধু, এধ কাপ নানা রকম বীজ ও বাদাম নিয়ে নিন। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে ওট্স মেখে গোল গোল করে নিন। এ বার বেকিং সিটে রেখে ফ্রিজে আধ ঘণ্টার মতো রেখে দিন। খুব সুন্দর স্ন্যাক্স তৈরি হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
চিজ়ের সঙ্গে আনারসের স্ন্যাক্স
খুবই সহজ বানানো। আধ কাপের মতো চিজ় নিয়ে তার সঙ্গে আনারসের টুকরো মিশিয়ে নিন। উপরে এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। খিদে পেলে এই স্ন্যাক্স খেতে পারেন। খেতেও সুস্বাদু হবে এবং ভাজাভুজি ও মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।
কিনোয়ার উপমা
কিনোয়া সেদ্ধ করে নিন। গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম, ব্রোকোলি যা যা সব্জি পছন্দ কুচিয়ে রাখুন। এ বার কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তাতে গোটা সর্ষে, কারি পাতা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। অলিভ তেলেও রান্নাটি করতে পারেন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে পছন্দের সব্জি দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড় করুন। অল্প হলুদ ও স্বাদমতো নুন দিন। তার পর সিদ্ধ করা কিনোনা দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।