রোদ থেকে ফিরে এক গ্লাস ঠান্ডা স্মুদি খেলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ওজন কমানো হোক বা শরীর ‘ডিটক্স’ করতে— অনেক পুষ্টিবিদই স্মুদি বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। নানা রকম ফল বা সব্জি পিষে তার সঙ্গে বাদাম অথবা বীজ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান অনেকেই। তবে কী কী মিশিয়ে স্মুদি বানাচ্ছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানেন না, স্মুদি বানানোর নিয়ম আছে। ভুল উপকরণ মেশালে বা কোনও উপকরণ বেশি পরিমাণে মেশালে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। পেটের সমস্যাও বাড়বে।
পুষ্টিকর স্মুদি বানাতে হলে কোনটির সঙ্গে কোনটি মেশাবেন ও কী পরিমাণে, তা জেনে রাখা ভাল। ফুড কম্বিনেশনের মতো ‘স্মুদি কম্বিনেশন’ বলেও একটি বিষয় আছে। সেটি কী, তা জেনে রাখা ভাল।
স্মুদিতে কোন কোন উপকরণ একেবারেই মেশাবেন না?
কৃত্রিম চিনি
স্মুদিকে পুষ্টিকর বানাতে অনেকেই কৃত্রিম চিনি মেশান। এটা একেবারেই ঠিক নয়। ম্যাপেল সিরাপ বা মধুও মেশাতে হবে মাপ মতোই। ডায়াবিটিস থাকলে, মধু বা মিষ্টি সিরাপ কোনওকিছুই দেওয়া ঠিক নয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বেড়ে যাবে। জেনে রাখা ভাল, কৃত্রিম চিনির মূল উপাদানগুলি হল— অ্যাসপার্টেম, সুক্রোজ়, সুক্রালোজ়, স্যাকারিন, নিওটেম এবং স্টিভিয়া। এর মধ্যে অ্যাসপার্টেম যদি বেশি পরিমাণে শরীরে ঢোকে, তা হলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়বে। কৃত্রিম চিনিতে থাকা স্যাকারিন শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে।
প্রোটিন পাউডার
স্মুদিতে অনেকেই প্রোটিন পাউডার মেশান। শরীরচর্চা সেরে ফিরে প্রোটিন পাউডার মেশানো স্মুদি খাওয়ার অভ্যাস আছে কমবয়সিদের। বিজ্ঞাপনী চমকে ভুলে এমনটা করে থাকেন অনেকেই। এই অভ্যাস অস্বাস্থ্যকর। এই ধরনের পাউডার দীর্ঘ দিন ধরে খেলে তা কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্রুত পেশি গঠন করার জন্য যে ধরনের প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করা হয়, তাতে স্টেরয়েড জাতীয় উপাদান মিশ্রিত থাকে। এই স্টেরয়েড দীর্ঘ দিন শরীরে প্রবেশ করলে স্থূলতার সমস্যা শুরু হয়।
ফলের সঙ্গে সব্জি নয়
সব্জির সঙ্গে কোনও রকম ফলই মেশাবেন না। ফলের স্মুদি আর সব্জি দিয়ে বানানো স্মুদি আলাদাই হয়। দু’রকম ফাইবার মেশালে তা পেটে গিয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো বাড়বেই, সোরিয়াসিস, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিসের মতো চর্মরোগও দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
দুধের সঙ্গে দই নয়
দুধ ও দই একসঙ্গে কখনওই মেশাবেন না। আবার ঘরে পাতা টক দইয়ের সঙ্গে গ্রিক ইয়োগার্টও মেশাতে যাবেন না। এই মিলমিশ অ্যালার্জি জনিত রোগের কারণ হতে পারে।
বরফ নয়
স্মুদিতে বরফ মেশাবেন না। এই ভুল কমবেশি অনেকেই করেন। ফল ছোট ছোট করে কেটে ফ্রিজে রেখে দেবেন। সেই ঠান্ডা ফলই মেশাবেন স্মুদিতে। এতে ফলের রস মিশে গিয়ে স্মুদি আরও পুষ্টিকর হবে।