চিরতা খেলে ভাল হবে হজমশক্তি। ছবি: সংগৃহীত।
চিরতা!
নাম শুনে হয়তো ভাবছেন, এ জিনিস আপনার কোন কাজে লাগবে! আপনি তো শিশু নন, আর আপনার ডায়াবিটিসও নেই। তা হলে এই তিতকুটে পানীয়ের গুণগান গেয়ে কী লাভ? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাহাড়ি এই ভেষজের অনেক গুণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি আর কী কী উপকারে লাগে চিরতা?
১) চিরতায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করে। মরসুম বদলে যে ধরনের সর্দিকাশি হয়, তা-ও ঠেকিয়ে রাখতে পারে এই পানীয়। চিরতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান, যা ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
২) চিরতার জল খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। আয়ুর্বেদেও এই ভেষজের ব্যবহার রয়েছে। হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে এই পানীয়টি। হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যাতেও উপকার মেলে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৩) শরীরে জমা টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে এই উপাদান। সারা রাত ধরে লিভার, কিডনিতে জমা দূষিত পদার্থ, বিপাকজাত ‘অপ্রয়োজনীয়’ ফ্যাট শরীর থেকে বার করতে সাহায্য করে চিরতা ভেজানো জল।
৪) শীতে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। অ্যালার্জির জন্য শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, সর্দিকাশির সঙ্গে আরও নানা রকম সমস্যা হয়। চিরতা এ ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও এই জল খেতে পারেন।
৫) ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য চিরতার জল বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া, চিরতার জল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমায়।
কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়?
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চা চামচ চিরতার পাতা দিন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে সেই পানীয় খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। যে হেতু চিরতা খুব তিতকুটে, তাই ছোটরা এই পানীয় খেতে একেবারেই পছন্দ করে না। চাইলে চিরতার জলে অল্প মধুও মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy