এ দেশে রাতে ফল খাওয়ার চল তেমন দেখা যায় না। ছবি: সংগৃহীত।
রাতে বা এক বেলা ফল থাকার চল পশ্চিমি দুনিয়ায় নতুন নয়। স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে নতুন করে এই নিয়ম ফিরে আসার কারণ হল ‘ডিটক্সিফিকেশন’ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ। কেউ পুষ্টিবিদের পরামর্শে, আবার কেউ ইন্টারনেট ঘেঁটে সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন রাত শুধু ফল খেয়ে থাকার অভ্যাস রপ্ত করেও ফেলেছেন। তবে আদতে দেখা যাচ্ছে, ফল হচ্ছে উল্টো। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ডায়েট কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে না। শুধুমাত্র ফল শরীরের সমস্ত ঘাটতিও পূরণ করতে পারে না। তাই শারীরবৃত্তীয় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, শারীরিক কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়াও স্বাভাবিক।
নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ ফল। তবে ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করাও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই শুধু ফল খেলে দেহের শর্করার উপর প্রভাব পড়া স্বাভাবিক। পুষ্টিবিদ ইন্দ্রাণী ঘোষের মতে, “ফল শরীরের জন্য ভাল। তবে রাতের খাবার হিসাবে শুধু ফলের উপর নির্ভর করা কাজের কথা নয়। ফলের মধ্যে থাকে ফ্রুক্টোজ়, যা রক্তে শর্করার সমতা নষ্ট করে। ফাইবার এবং অ্যাসিডের প্রভাবে পেটফাঁপার সমস্যাও হতে পারে। ফলের মধ্যে ফ্যাট এবং প্রোটিন নেই বললেই চলে। এই দুই উপাদানের অভাবে শরীরে খিদের অনুভূতি কিন্তু বেড়ে যেতে পারে।”
রাতের খাবার না খাওয়া যেমন কোনও স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়, তেমনই শুধু ফল খেয়ে থাকাও ভাল নয়। তার চেয়ে বরং এমন ডায়েটের উপর জোর দিতে হবে, যাতে সব দিকেই সমতা বজায় থাকে। রাতের খাবার খাওয়ার সময় এগিয়ে আনতে পারলে ভাল হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy