এক মাসও নয়, ২১ দিনের মধ্যেই ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হয়েছিলেন আর মাধবন। তার জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়েছেন, তা নয়। অস্ত্রোপচারও করাননি। খুব কড়া ডায়েট মেনেছেন তা-ও নয়। তা হলে? ওজন কমানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় জানিয়েছেন দক্ষিণী অভিনেতা।
২০২২-এর ‘রকেট্রি’ ছবির জন্য অনেকখানি ওজন বাড়াতে হয়েছিল মাধবনকে। তার পর ‘শয়তান’ ছবি ও নানা ওয়েব সিরিজ়ের জন্য ফের ওজন কমাতে হয়। সেই সময়ে ঠিক কী ভাবে দ্রুত ওজন কমিয়েছিলেন সে রহস্য ফাঁস করেছেন মাধবন। জানিয়েছেন কিছু টোটকাও।
ওজন কমাতে মাধবনের টোটকা—
১) ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
২) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার মধ্যে রাতের খাওয়া
৩) বেলা ৩টের পরে কোনও রকম কাঁচা ফল বা স্যালাড না খাওয়া
৪) সকালে ঘণ্টাখানেক হাঁটা ও রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম
৫) প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি খাওয়া
৬) পর্যাপ্ত জল খাওয়া
ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এখন খুবই জনপ্রিয়। কেবল তারকারা নন, কমবেশি সকলেই এই পদ্ধতি মেনে চলার চেষ্টা করছেন। তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার কিছু নিয়ম আছে, তা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই করতে হয়। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না। দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করেই কাটাতে হয়। সঠিক উপায় অনুযায়ী ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ মেনে চললে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং শরীরও চাঙ্গা থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। মেদ ঝরে খুব তাড়াতাড়ি। তবে প্রত্যেকের শরীরের গঠন ও বিপাকের হার আলাদা। তাই ফাস্টিং করতে হলে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন:
মাধবন আরও একটি নিয়ম মেনেছিলেন, তা হল সময় নিয়ে চিবিয়ে খাবার খাওয়া। তাঁর এই অভ্যাস নিয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাড়াতাড়ি গিলে খাবার খেয়ে ফেললে তা হজম হতে দেরি হয়। সময় নিয়ে চিবিয়ে খেলে খাবারের কণা ছোট ছোট ভাগে ভেঙে যায় ও পাচকরসের সঙ্গে মিশে দ্রুত হজম হয়। রোগা হতে হলে এই পদ্ধতি মেনে চলতেই হবে। মোবাইলে স্ক্রল করতে করতে বা টিভি দেখতে দেখতে খাবার খাওয়াও উচিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। আর রাতের খাওয়া তাড়াতাড়ি সেরে ফেলার উপকারিতাও অনেক। পুষ্টিবিদের মতে, রাতের খাবার দেরি করে খেলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা শুরু হবে। টাইপ ২ ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম উৎস হল দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া। ১০টা বা ১১টার পরে রাতের খাওয়া সেরে শুতে গেলে হজমের গন্ডগোল তো শুরু হবেই, অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দেখা দেবে।