নিজেদের এমন নিয়মে বাঁধা সত্ত্বেও কী ভাবে হৃদ্রোগ বাসা বাঁধছে তারকাদের শরীরে? ছবি: সংগৃহীত।
দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললে হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগ এড়ানো যায়। তেমনই পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ভিতর থেকে ফিট থাকা যে কোনও রোগের ঝুঁকি এড়ানোর প্রথম ধাপ। সত্যিই কি ফিট থাকা সত্ত্বেও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো যায়? সম্প্রতি সুস্মিতা সেন জানিয়েছেন, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। বুকে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। সুস্মিতার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে ফিটনেসের সংজ্ঞাটা আসলে ঠিক কী? সুস্মিতা ফিট নন, এ কথা তাঁর নিন্দকেরাও বলবেন না। ৪৭ বছর বয়সি সুস্মিতাকে দেখলেই বোঝা যায় তিনি ঠিক কতটা ফিটনেস সচেতন। খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা— সবই করেন নিয়ম মেনে। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটলে জানা যাবে, তাঁর যোগাসনের প্রতি প্রেমের কথা। নিজেকে এমন নিয়মে বাঁধা সত্ত্বেও কী ভাবে হৃদ্রোগ বাসা বাঁধল তাঁর শরীরে? তবে কি নিজেকে ফিট রাখার নিয়মে কোথাও গলদ থেকে যাচ্ছে? একই প্রশ্ন উঠেছিল, ২০২১ সালে যখন হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা যান বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্ল। সিদ্ধার্থ শরীরচর্চা করতেন রুটিনমাফিক। এমনকি, জিম করতে করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরচর্চা করা মানেই ফিট থাকা নয়। এখানেই ভুল করেন অধিকাংশেই। অনেকেরই ধারণা, রোজের জীবনে চূড়ান্ত অনিয়ম করেও যদি কয়েক ঘণ্টা পরিশ্রম করে ঘাম ঝরিয়ে ফেলা যায়, তা হলে আর সমস্যা হবে না। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে প্রথমেই এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শরীরচর্চা ছাড়াও ফিট থাকার রুটিনে আর কী কী রাখতে হবে?
পর্যাপ্ত ঘুম
হৃদ্রোগ ঠেকাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কাজের ব্যস্ততায় সবচেয়ে বেশি অবহেলা হয় সেখানেই। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম বাধ্যতামূলক। কম ঘুমের কারণে শরীরে স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণে ক্ষরিত হয়। তার ফলেই দেখা দেয় নানা রোগের ঝুঁকি। হৃদ্রোগ তার মধ্যে অন্যতম।
সঠিক ডায়েট
অনেকেই ডায়েট মেনে চলেন। কিন্তু সেই ডায়েটের তালিকায় কী কী থাকছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েট করা মানে উপোস করে থাকা নয়। সব স্বাস্থ্যকর উপাদান শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌঁছনো হল আসল ডায়েট। আর সেখানেই ভুল করে বসেন অনেকে। তাই ডায়েটে এমন খাবার রাখুন, যেগুলিতে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের মতো উপাদান ভরপুর পরিমাণে রয়েছে।
ইচ্ছেমতো ওষুধ খাওয়া নয়
হঠাৎ খুব মাথাব্যথা করছে। ব্যথা কমাতে নিজের কাছে রাখা ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে নিলেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে যন্ত্রণা হয়তো উধাও হয়ে গেল, কিন্তু পরবর্তীতে এর প্রভাব বোঝা যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে ব্যথার ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসে শুধু হার্ট অ্যাটাক নয়, কিডনি এবং আরও অনেক শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy