আকাশ কালো করে ধুলোঝড় হচ্ছে। সেই সঙ্গে অবিরাম বজ্রপাত। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিও কিন্তু অ্যালার্জি ও হাঁপানির কারণ হয়ে উঠতে পারে। ঝড়-বজ্রপাত থেকেও হাঁপানি হতে পারে, এমন ধারণা নেই অনেকেরই। শুনলে আশ্চর্যই মনে হবে। কিন্তু জানেন তো, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমন রোগের উল্লেখ আছে, এর নাম ‘থান্ডারস্টর্ম অ্যাজ়মা’ বা ‘এপিডেমিক থান্ডারস্টর্ম অ্যাজ়মা’ (ইটিএসএ)। আচমকা ধুলোঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত দিল্লি। এমনিতেই সেখানে দূষণের মাত্রা বেশি, তার উপরে ধুলোঝড়ে পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। যাঁদের শ্বাসের সমস্যা রয়েছে অথবা হাঁপানি আছে, তাঁদের এই সময়ে কষ্ট অনেক বাড়বে। প্রয়োজনে ইনহেলারও নিতে হতে পারে।
ঝড়-বজ্রপাতে হাঁপানি কেন হয়?
‘থান্ডারস্টর্ম অ্যাজ়মা’ খুব চেনা রোগ নয়। সকলেরই যে হবে তা নয়। তবে অ্যালার্জির ধাত থাকলে অথবা সাইনাস বা অ্যালার্জিক রাইনিটিস থাকলে ওই সময়ে সমস্যা বাড়বে। এমনও দেখা গিয়েছে, কোনও এলাকায় আচমকা ধুলোঝড় হওয়ার পরে সেখানকার মানুষজন হাঁচি-কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগেছেন।
আরও পড়ুন:
বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা, দূষিত পদার্থ ঝড়ের সময়ে ভেঙে গিয়ে আরও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণায় পরিণত হয়। হাওয়ার বেগে এই সব দূষিত কণা শ্বাসবায়ুর মাধ্যমে শ্বাসনালিতে ঢুকে সংক্রমণ ঘটায়। তখন হাঁচি-কাশি শুরু হয়। শ্বাসের সমস্যাও হতে পারে। তা ছাড়া এই সময়ে বাতাসের সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, ধূলিকণা ও অন্যান্য গ্যাসের সঙ্গে মিশে দূষিত কণা তৈরি করে। এই সব রাসায়নিক শ্বাসনালিতে ঢুকলে প্রদাহ তৈরি করে, ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যাদের ধোঁয়া ধুলোয় অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, সিওপিডি-সহ শ্বাসনালির অসুখ আছে, বা বারে বারে অ্যালার্জি জনিত হাঁচি-কাশির সমস্যা হয়, তাঁদের এই সময়ে সাবধানে থাকতেই হবে।
কী ভাবে সাবধানে থাকবেন?
১) অ্যালার্জির ধাত থাকলে ঝড়-বজ্রপাতের সময়ে বাইরে না বেরোনোই ভাল।
২) ধুলোঝড়ের সময়ে বাইরে থাকলে মুখে মাস্ক পরে নিন বা কাপড়ে নাক-মুখ পেঁচিয়ে ঢাকা দিয়ে নিন।
৩) হাঁপানি থাকলে সঙ্গে ইনহেলার রাখতেই হবে।
৪) ধুলোঝড়ের পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে, দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।