Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Refined Oil

মাসখানেকের জন্য যদি ভাজা খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন, শরীরে কী কী পরিবর্তন লক্ষ করবেন?

সর্ষের তেলের চেয়ে রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল বেশি ক্ষতিকর বলা হয়। অথচ সব রকম ভাজাভুজির জন্য এই সাদা তেলই ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের খাবার মাসখানেক না খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়বে?

Image of Refined Oil.

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৩ ১২:০৯
Share: Save:

বাঙালি রান্না মানে তার মধ্যে তেল থাকবেই। নুন, লঙ্কা এবং কাঁচা সর্ষের তেল ছাড়া সেদ্ধ খাবারও খেতে পারেন না অনেকে। আবার স্বাস্থ্য সচেতনেরা স্যালাড খেলেও উপরে একটু অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দেন। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই বলেন, দিনে ৪ থেকে ৫ টেবিল চামচের বেশি তেল না খেতে। কিন্তু সে গণ্ডি প্রায় রোজই পেরিয়ে যায়। সপ্তাহান্তে লুচি, পরোটা, মাছ, তেল রগরগে মাংসের ঝোল— ফলে সমস্যা বাড়তেই থাকে। অনেকেই মনে করেন, সর্ষের তেলের চেয়ে রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল বেশি ক্ষতিকর। সেই কথা ভেবে হঠাৎ যদি মাসখানেকের জন্য ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে শরীরে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে? এক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য প্রভাবী দেবেন্দ্র শ্রীমল জানাচ্ছেন, “এক মাস ধরে সব রকম ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করেছিলাম। কোলেস্টেরল, প্রদাহ থেকে ওজন— সবেতেই তফাত নজরে এসেছে।”

এক মাস পরিশোধিত তেল খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ রাখলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়তে পারে?

১) হৃদ্‌যন্ত্র

যে সব তেলে ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি, সেই তেল নিয়মিত খেলে হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা বাড়তে বাধ্য। তাই এক মাস টানা তেল খাওয়া বন্ধ রাখলে কোলেস্টেরল-সহ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার যাবতীয় ঝুঁকি এড়ানো যায়।

২) ওজন

ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে শরীরচর্চার পাশাপাশি ক্যালোরির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সারা সপ্তাহ ভাত, রুটি বন্ধ করে যদি সপ্তাহান্তে অনেকটা ভাজা খাবার খান, তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না। কারণ পরিশোধিত তেলে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

৩) রক্তে শর্করার মাত্রা

মিষ্টিজাতীয় খাবার খান না। তাই ভাজা খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় কোনও প্রভাব পড়বে না, এমনটা ভেবে নেন অনেকেই। পরিশোধিত তেল খাওয়া বন্ধ করলে হঠাৎ পরিবর্তন আসবে না। তবে ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।

৪) ত্বকের স্বাস্থ্য

বাইরে থেকে প্রসাধনী মেখে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখা যায় কিছু ক্ষণের জন্য। কিন্তু ভিতর থেকে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে গেলে প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন হতে দেওয়া চলবে না। সে ক্ষেত্রে তেল খাওয়া বন্ধ করা জরুরি।

৫) হজমের উন্নতি

সাধারণ বাড়ির খাবার খেয়ে অম্বল হচ্ছে। এ দিকে, অফিসে যে জমিয়ে চপ-শিঙাড়া খেয়েছেন, সে কথা ভুলেই গিয়েছেন। হজমের ওষুধ খেলে অম্বল-অ্যাসিডিটি কমবে। কিন্তু এই ধরনের ওষুধ তো নিয়মিত খাওয়া ঠিক নয়। তাই পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তেল বাদ দিতে। তা হলেই হজমে উন্নতি হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy