— প্রতীকী চিত্র।
রাতে ঘুমোনোর সময়ে কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান না শুনলে ঘুম আসে না। আবার, একঘেয়ে কাজের অবসাদ কাটাতেও অনেকে কানে ইয়ারফোন দিয়ে রাখেন। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকে আবার মনে করেন, ইয়ারফোনের চেয়ে আকারে বেশ খানিকটা বড় হেডফোন কানে দেওয়া না কি অনেক ভাল। হেডফোন, ইয়ারফোনের মতো কর্ণকুহরে প্রবেশ করে না বলে ক্ষতির আশঙ্কাও কম। তবে নাক-কান-গলার চিকিৎসকেরা বলছেন, কানের ক্ষতি আটকাতে দু’টি যন্ত্রের মধ্যে থেকে যদি বেছে নিতে হয়, তা হলে হেডফোনই বেছে নেওয়া উচিত।
চিকিৎসক এবং প্রভাবী রচনা মেহতা তাঁর সমাজমাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেছেন, কানের ভিতর ময়লা বা খোল জমে। তা নিয়মিত পরিষ্কার করেন না অনেকেই। এই অবস্থায় ইয়ারফোন কর্ণকুহরে প্রবেশ করার সময় কানের ভিতরে থাকা ময়লা আরও ভিতরে ঢুকে যায়। স্নানের সময় কানে জল বসে কানে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়াও ইয়ারফোনের তীক্ষ্ণ শব্দ সরাসরি কানের ক্ষতি করে।
দীর্ঘ দিন ধরে ইয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হারিয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘নয়েজ় ইনডিউজ়ড হিয়ারিং লস’ বলা হয়। তবে প্রয়োজনে যদি ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করতেই হয়, সে ক্ষেত্রে অল্প সময়ের জন্য কানে দেওয়া যেতে পারে। শব্দের মাত্রা থাকতে হবে ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে। যদি নিয়মিত এই ধরনের যন্ত্র কানে দিতেই হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু দিন অন্তর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কান পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy