বয়স বাড়লে শরীর, মনের রং ফিকে হবে। নানা রকম রোগ চেপে ধরবে। শরীরের নানা জায়গায় ব্যথা-বেদনা নিয়ে তটস্থ হতে হবে। চামড়ায় সেই টান টান ভাব থাকবে না, চুলও পাতলা হতে থাকবে। এমনটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু নীতা অম্বানীকে দেখে কি সে কথা বোঝার উপায় আছে?
রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা। ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর পত্নীও বটে। ঘরে-বাইরে তাঁর সমান ব্যস্ততা। আজ দেশে তো কাল বিদেশে, রীতিমতো দৌড়ে বেড়ান নীতা। পারিবারিক অনুষ্ঠানেও তিনি মধ্যমণি। তিন সন্তানের মা, দিদা, ঠাকুরমা— সব চরিত্রেই তিনি সমান দক্ষ। কোন গোপন সূত্র মেনে এত ফিট ষাটোর্ধ্ব নীতা? আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একটি ভিডিয়োবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সুস্থ থাকার গোপন তিনটি সূত্রের কথা।
আরও পড়ুন:
নীতা দীর্ঘ দিন ধরে ভারতনাট্যম নৃত্যশৈলীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই শরীরচর্চা করতে খুব একটা কষ্ট হয়নি। নীতা বলেন, “আমার পা খুবই শক্তপোক্ত। তাই পায়ের ব্যায়াম করতে আমার ভালই লাগে। এ ছাড়া সপ্তাহে ৫-৬ দিন ‘মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ’ করে ব্যায়াম, আসন বা যোগাসন করি। একঘেয়েমি কাটাতে মাঝেমধ্যে সাঁতার বা ‘অ্যাকোয়া এক্সসারসাইজ়’ও থাকে।” তার সঙ্গে রোজ ৫ থেকে ৭ হাজার পা হাঁটার অভ্যাসও রয়েছে নীতার।
সুস্থ এবং নীরোগ থাকতে শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটের উপরেও বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলেছেন নীতা। মহিলাদের বার্ধক্যজনিত সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে প্রোটিনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। প্রোটিনের মূল উৎস মাছ, মাংস কিংবা ডিম। তবে নীতা আমিষ খাবার মুখে তোলেন না। তাই উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উপরেই ভরসা করতে হয় নীতাকে। পাশাপাশি সারা দিনে কতটা চিনি শরীরে যাচ্ছে, সে বিষয়েও যথেষ্ট সচেতন তিনি। নীতা বলেন, “আমি কোনও ধরনের মিষ্টি খাই না। খাবারে চিনির বিকল্পও ব্যবহার করি না।”