Advertisement
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Insomnia Problem

রাতের পর রাত জেগে কাটাচ্ছেন? ঘুম না আসার কারণ লুকিয়ে আপনার ঘরেই

অনিদ্রার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ঘরের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করছে ঘুমের মান কেমন হবে।

Symbolic Image.

অনিদ্রার নেপথ্যে থাকতে পারে ঘরের তাপমাত্রাও। ছবি:সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ১৩:৩২
Share: Save:

দীর্ঘায়ু পেতে পর্যাপ্ত ঘুমনো জরুরি। শরীরচর্চা আর ডায়েট সুস্থ থাকার শেষ কথা নয়। ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া— পর্যাপ্ত না ঘুমোলে শরীর ভিতর থেকে খারাপ হয়ে যেতে থাকে। তাই সুস্থ জীবনযাপন করতে সারা দিনে অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমনো প্রয়োজন। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, শুধু গভীর ঘুমোলেই সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। ঘুমের সময় ঘরের তাপমাত্রা কত থাকছে সেটাও জরুরি। সাধারণত পরামর্শ দেওয়া হয়, বয়স্কদের শোয়ার ঘরের সর্বোত্তম তাপমাত্রা হল ১৫.৫০-২১.১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘুমিয়ে প়ড়লে এমনিতে দেহের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ঘরের এই তাপমাত্রা দেহের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

বয়স বাড়লে এমনিতেই ঘুম কম হয়। কম বয়সের মতো গভীর ঘুমও হয় না। বারে বারে ঘুমও ভেঙে যায়। গবেষণা জানাচ্ছে, ঘরের তাপমাত্রা সঠিক না থাকলে এমন সমস্যা বেশি হয়। কারণ বার্ধক্যে দৈহিক পরিশ্রম কম হয়। ফলে শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়ে না। ক্লান্তি আসলে ঘুম ডেকে আনে তাড়াতাড়ি। সেটা শারীরিক এবং মানসিক দুই-ই হতে পারে। তবে বার্ধক্যে সেটা কম হয়। তাই ঘুমের ঘাটতি থাকে। ‘সায়েন্স অফ দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, ঘুমের মান উন্নত হবে তখনই, যখন ঘরের তাপমাত্রা থাকবে ১৫-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই ঘুম না আসার ওষুধ না খেয়ে বরং ঘরের তাপমাত্রা ঠিক করার দিকে নজর দিতে হবে।

ঘরের মধ্যে দূষণ, বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডই রাতে ঘুম না আসার জন্য দায়ী। ‘স্লিপ হেল্‌থ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্যটি। সেখানে বলা হয়েছে, ঘরের পরিবেশের মধ্যেও যে হারে দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে, তা ঘুমের জন্য মোটেই আদর্শ নয়।

দু’সপ্তাহ ধরে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬২ জনের ঘুমের সময় এবং তার বিভিন্ন ধরন। সেই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেকের ঘরে বাতাসে দূষণের পরিমাণ কেমন তা-ও মেপে দেখেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ঘুমের গুণগত মান কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে ঘরের তাপমাত্রার উপর।

অন্য বিষয়গুলি:

Sleeping sleep
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy