মাইগ্রেনের যন্ত্রণা যে কোনও সময় হতে পারে। ওষুধের মাধ্যমে চটজলদি আরাম মিললেও তাতে দীর্ঘকালীন কোনও ফল পাওয়া যায় না। সাধারণ মাথা যন্ত্রণার সঙ্গে মাথার দু’পাশে মাইগ্রেনের ব্যথার পার্থক্য রয়েছে। মাইগ্রেন থেকে মাথা ঘোরা, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, শরীরে বমি বমি ভাবও দেখা দিতে পারে। ওষুধ তো রয়েইছে। পাশাপাশি, পাঁচটি সহজ পদ্ধতি মেনে চললে মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।
অনেক সময়ে মাইগ্রেনের ব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ এবং মদ্যপান থেকেও মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। আবার অত্যধিক ক্লান্তি, অনিদ্রা থেকেও এই ধরনের ব্যথা ফিরে আসতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেহে হরমোনের তারতম্যের কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। ওষুধ না খেয়েও জীবনধারায় পাঁচটি পরিবর্তনের মাধ্যমে মাইগ্রেনকে দূরে রাখা সম্ভব।
আরও পড়ুন:
বিশ্রামের প্রয়োজন
ব্যথা কম বা বেশি যাই হোক না কেন, বিশ্রাম প্রয়োজন। মাইগ্রেনের ব্যথার ক্ষেত্রে আলোর দিকে তাকালে সমস্যা হতে পারে। বিশ্রামের জন্য কোনও অন্ধকার ঘরকে বেছে নেওয়া ভাল। বমি পেলে পর্যাপ্ত জল খাওয়া উচিত। বিশ্রামের সময় কপালে ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম
কম ঘুম থেকে ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই প্রতি দিন যাতে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাত্রে ভাল ঘুমের জন্য দুপুরের ঘুম এড়িয়ে গেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
ক্লান্তি নিয়ন্ত্রণ
শরীরে উপর দিয়ে খুব ধকল গেলে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে। তাই যাতে ক্লান্তি না আসে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সময় পেলে কিছু ক্ষণ হেঁটে নিলে ক্লান্তি কমতে পারে। আবার কাজের ফাঁকে হাঁটার সময় না পেলে কিছু ক্ষণ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলেও ব্যথার হাত থেকে রেহাই মিলতে পারে।
শরীরচর্চার বিকল্প নেই
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে অনেকাংশে মাইগ্রেনকে দূরে রাখা সম্ভব। শরীরচর্চার সময়ে দেহে কিছু বিশেষ রাসায়নিকের ক্ষরণ হয়, যা মস্তিষ্কে ব্যথার অনুভূতি পৌঁছোতে বাধা দেয়। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এই ধরনের ব্যথা থেকে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
সুষম আহার
মাইগ্রেনে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের কোনও ভাবেই পেট খালি রাখা উচিত নয়। কারণ, খালি পেটে অনেক সময়েই এই ব্যথা ফিরে আসতে পারে। তবে যে কোনও খাবার নয়। নিয়মিত সুষম আহার করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যেন চিজ়, ডার্ক চকোলেট এবং ক্যাফিন-জাত খাবার না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।