আধুনিক জীবনযাপন, দীর্ঘ অনিয়ম আর শরীরের প্রতি অবহেলার কারণে কম বয়সে যে সব ক্রনিক সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে, কোলেস্টেরল তার মধ্যে অন্যতম। খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা— সময় মতো না করলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। তবে, কোলেস্টেরল বেশি থাকলে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। না হলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি থেকে যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা ক্রমাগত বাড়িয়ে দেয়। তাই কোলেস্টেরল ধরা পড়লে, সকালের জলখাবারে রাশ টানতেই হবে।
বাঙালির ছুটির দিনের জলখাবার মানেই সকাল সকাল গরম ফুলকো লুচি ও তরকারি। অথবা কচুরি-আলুরদম। এমন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, কোলেস্টেরল কোনওদিনই কমবে না। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বাড়বে। তাই প্রাতরাশে এমন খাবার দিতে হবে যা থেকে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা মিটতে পারে। আর রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয়।
উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাবার, কেক, কুকি, পেস্ট্রি, পনির, ঘি, মাখন, চিজ়, জ্যাম বাদ দিতে পারলেই ভাল। ক্রিমযুক্ত দুধ এবং তা থেকে তৈরি ঘি-মাখন যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। গোটা শস্য, প্রচুর পরিমাণ শাকসব্জি, ফল রাখতে হবে ডায়েটে। খেতে হবে মরসুমি ফল ও টাটকা ফলের রস। পাউরুটি না খেয়ে বরং ওট্স, ডালিয়া খাওয়া ভাল। আটা বা ময়দার লুচি, কচুরির বদলে বিশেষ একরকম খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে।
ফ্রুট্স স্মুদি
এক কাপের মতো ওট্স, ১টি কলা, আধ কাপের মতো যে কোনও মরসুমি ফলের কুচি, ১ চামচ চিয়া বীজ, ১ চামচ তিসির বীজ, ১ চামচ আমন্ড বা পিনাট বাটার, আধ চামচ দারচিনির গুঁড়ো ভাল করে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। এই মিশ্রণ ছেঁকে উপরে কুমড়ো ও তিসির বীজ ছড়িয়ে খেতে পারেন। ভিটামিন, প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই স্মুদি খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে।
আপেল-দারচিনির ওট্মিল
প্রথমে ওট্স সেদ্ধ করে নিতে হবে। এর সঙ্গে কাঠবাদামের দুধ বা সয়া মিল্ক মেশান। ভাল করে ফুটিয়ে তাতে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা আপেল, তিসির বীজ, কাঠবাদাম মিশিয়ে নিন। এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে খেতে পারেন।