বেদানা যে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, সে ব্যাপারে দ্বিমত থাকার কথা নয়। বহু কাল ধরেই রোগীর পথ্য হিসাবে বেদানা খাওয়ানো হয়। বেদানা খেলে শরীরে আয়রন বাড়ে, রক্তাল্পতার সমস্যা মেটে, তা-ও পুষ্টিবিদেরা বলেই থাকেন। কিন্তু বেদানা কখন খাওয়া উচিত। কী ভাবে খেলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়? রোজ সকালে এক গ্লাস বেদানার রস খেলে কি শরীরে কোনও উপকার হতে পারে? পু্ষ্টিবিদেরা বলছেন বেদানার অনেক উপকার।
১। বেদানায় ক্যালোরি কম। ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যা পেট অনেক ক্ষণ ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক।

২। বেদানায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্য পুষ্টিগুণ। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩। বেদানা হজমে সাহায্যকারী এনজ়াইম উৎপাদনে সাহায্য করে যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৪। বেদানা রক্ত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

৫। বেদানায় থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস প্রদাহ নাশে সাহায্য করে ব্যথা বেদনা কমাতে পারে।
৬। বেদানায় থাকা নাইট্রেটস এবং পলিফেনল পেশিতে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী।
৭। বেদানা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা উন্নত রাখতে পারে।

কিন্তু এই সমস্ত উপকারই বেদানার রস না করে খেলেও পাওয়া যাবে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, যেকোনও ফলের মতো বেদানারও রস করে খেলে, তা থেকে ফাইবার বাদ গিয়ে পরে থাকবে সিম্পল কার্বোহাইড্রেট। যা রক্তে হঠাৎ শর্করা বাড়িয়ে দিতে পারে। সকালে খালিপেটে বেদানার রস খেলে তা ক্ষতিকরও হতে পারে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বেদানার রস যদি খেতেই হয়, তবে খাবারের সঙ্গে অল্প পরিমাণে খাওয়া ভাল। তবে বেদানা ফল হিসাবে যেকোনও সময়ে খাওয়া যেতে পারে।