— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শিশুর মধ্যে লুকিয়ে থাকে আগামীর সম্ভাবনা। সেই আগামীর জন্যই প্রয়োজন খুদের সঠিক পরিচর্যা, সঠিক শিক্ষা। সেই শিক্ষার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল তার সামাজিক বোধ তৈরি করা। তাকে মিশতে শেখানো। তার মূল্যবোধ গড়ে তোলা। ছোট থেকে ধীরে ধীরে সমাজের সঙ্গে তাকে পরিচয় করাতে হবে। এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে অভিভাবকের। জেনে নিন, কী ভাবে খুদের সমাজ সম্পর্কে বোধ তৈরি করতে পারেন?
শিশুর বিকাশ
শিশুর বয়স যখন ১ বছর হয়, তখন সে বাবা, মা ছাড়াও বাড়ির মানুষদের চিনতে শেখে। ২ বছর হলে সে অন্যদের সঙ্গে খেলতেও পারে। কিন্তু তখনও তার জগৎ থাকে বাড়িতেই। তবে এর পর আস্তে আস্তে সে ক্রমশ পরিবেশ চিনতে শেখে। তিন থেকে চার বছরের শিশু অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশতে শেখে, খেলতে শেখে। আরও একটু বড় হলে তার চেনার পরিসর বেড়ে যায়। শিশু কী চাইছে, কী বলতে চাইছে, অভিভাবককে বুঝতে হবে। বিভিন্ন ধরনের খেলার মধ্যে দিয়ে তার মানসিক বিকাশ ঘটে। যে ধরনের খেলায় তার বৌদ্ধিক বিকাশ হবে, সেই ধরনের খেলায় তাকে উৎসাহী করতে হবে।
সামাজিক বিকাশ
তিন-চার বছরের শিশু কথা বলতে শিখে যায়। এই বয়সে পার্কে তাকে খেলতে নিয়ে গেলে সে আর পাঁচটা শিশুর সঙ্গে খেলতে, কথা বলতে শিখবে। খেলা, রাগ, ঝগড়া, সব কিছুর মাধ্যমেই তার মধ্যে সমাজ, বন্ধু সম্পর্কে ক্রমশ ধারণা তৈরি হবে। কথা বলা, খেলা, অন্যের সঙ্গে মেশা, এসবের মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে তার মধ্যে সামাজিক সত্তার বিকাশ ঘটবে।
আবেগ নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা
ছোটদের মধ্যে ঝগড়া-ভাব হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি দেখা যায়, খেলায় হেরে গিয়ে সে কান্নাকাটি করছে আর খেলতে যেতে চাইছে না, তবে তাকে কিন্তু বোঝাতে হবে। খেলা মানে সেখানে হার-জিত দুটোই থাকবে। হার মানে ছেড়ে দেওয়া নয়, আবার খেললে সে জিতবে, সেই মনের জোর তাকে দিতে হবে।
নজর রাখুন, তবে নিয়ন্ত্রণ নয়
খুদে কী করছে, কী ভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলছে, কেউ তাকে খারাপ কথা বলছে কি না, সে ব্যপারে অভিভাবককে নজর রাখতে হবে। তবে সেটা দূর থেকে। শিশুদের মধ্যে যে ছেলেমানুষি ঝগড়া, অভিমান চলে, তার ভিতরে কিন্তু ঢুকতে যাবেন না। বরং খেয়াল করুন, আপনার সন্তান কী ভাবে সেই পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। প্রয়োজনে তার পাশে থাকুন, তবে সিদ্ধান্ত খুদেকেই নিতে দিন।
নীতিকথা
খুদেকে গল্প শোনান। রূপকথা থেকে নীতিকথার গল্প। ছোট ছোট গল্প বলে তাকে বোঝান, এই গল্প থেকে কী শেখা যায়। এ ভাবেই খেলার ছলে সে ঠিক, ভুল, কোনটা করা উচিত, কোনটা নয়, বুঝতে শিখবে। এই শেখা তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য খুব জরুরি।
ভাগ করে নিতে শেখান
সমাজে চলতে গেলে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে চলতে হয়। নিজের জিনিস বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়। ছোট থেকে সেটা না শেখালে সন্তানের মধ্যে অজান্তেই স্বার্থপর মনোভাব তৈরি হতে পারে। কোনও কিছু ভাগ করে নিতে না চাইলে বকাবকি না করে বোঝার চেষ্টা করুন, সে কী বলছে? তার পর তাকে বুঝিয়ে বলুন।
আচরণ
কোন কথায় কাউকে ধন্যবাদ বলতে হয়, কোন কথায় দুঃখপ্রকাশ করতে হয়, খুদে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই শিক্ষাও দিতে হবে। বাইরে কোথাও সে খারাপ আচরণ করলে বকাবকি না করে তাকে বুঝিয়ে দিন, কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy